পতন অব্যাহত, বিদ্যুৎ চুক্তি পুনর্বিবেচনা করতে আদানিদের চিঠি বাংলাদেশের

0
1

লাগাতার নীচে নামছে আদানি গোষ্ঠীর(Adani Group) শেয়ার। এই অবস্থায় কার্যত সিঁদুরে মেঘ দেখছেন বিনিয়োগকারীরা। অনিশ্চয়তার মুখে আদানি গোষ্ঠীর একের পর এক প্রকল্প। পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে পারে তার আঁচ পেয়ে এবার সক্রিয় হল বাংলাদেশ সরকারও(Bangladesh Govt)। বাংলাদেশে ২৫ বছরের জন্য বিদ্যুৎ সরবরাহ(Electric Supply) করতে আদানি গোষ্ঠীর সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয়েছে বাংলাদেশ পাওয়ার ডেভেলপমেন্ট বোর্ড(Bangladesh Power Devlopment Board)। এই প্রকল্পের ভবিষ্যৎ নিয়ে উদ্বিগ্ন বাংলাদেশ এবার চুক্তি পুনর্বিবেচনা করতে চিঠি পাঠাল আদানি গোষ্ঠীকে।

চুক্তি অনুযায়ী আগামী ২৫ বছরের জন্য আদানি গোষ্ঠীর থেকে ১৪৯৬ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ (Power) কিনবে হাসিনার সরকার। বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (BPDB) মাধ্যমে সেই কাজ হবে। ঝাড়খণ্ডের গোড্ডা এলাকায় কয়লা থেকে বিদ্যুৎ তৈরি হবে। সেখান থেকে বিদ্যুৎ বাংলাদেশে সরবরাহ করা হবে। এমনকী বাংলাদেশের বিদ্যুৎ মন্ত্রী নাসরুল হামিদ জানুয়ারির প্রথম দিকে এই বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রটি ঘুরেও গিয়েছেন। তিনিই গোটা বিষয়টির তদারকি করছেন। এদিকে আদানি গোষ্ঠীর শেয়ারে পতন নামতেই গোটা পরিস্থিতিতে ব্যাপক বদল এসেছে। বিশ্বের পঞ্চম বৃহত্তম অর্থনীতির তকমা খোওয়াতে হয়েছে ভারতকে। এই পরিস্থিতিতে ভারতকে টপকে বিশ্বের পঞ্চম বৃহত্তম অর্থনীতি হিসাবে উঠে এসেছে ফ্রান্স (France)। এক ধাক্কায় ৩.২ ট্রিলিয়ন ডলার কমে গিয়েছে ভারতের বাজার মূলধন। আদানিরা বিনিয়োগকারিদের যতই আশ্বস্ত করুক স্বস্তি মিলছে না।

বিপিডিবি-র পক্ষ থেকে আদানি গোষ্ঠীকে চিঠি পাঠানো হয়েছে এই মর্মে যে বাংলাদেশকে বিদ্যুৎ সরবরাহ নিয়ে তাদের চুক্তিপত্রটি পুনর্বিবেচনা (Review) করা হোক। কারণ, প্রতি টন কয়লার দাম হিসেবে আদানিরা দর হাঁকিয়েছিল ৪০০ ডলার। কিন্তু বিপিডিবি-র দাবি, এই দাম অনেকটাই বেশি। তা ২৫০ ডলারের কাছাকাছি হওয়ার কথা। উল্লেখ্য, এই মুহূর্তে বিভিন্ন জায়গা থেকে বিদ্যুৎ আমদানি করতে বাংলাদেশের যা খরচ হয়, তার চেয়ে ঢের বেশি খরচ হবে আদানিদের কাছ থেকে বিদ্যুৎ কিনলে। ঝাড়খণ্ডের এই বিদ্যুৎ উৎপাদনকেন্দ্র থেকে ১৭০ কোটি ডলার খরচ হবে। আর সেই কারণেই এই চুক্তি প্রশ্নের মুখে।