মার্কিন সংস্থা হিন্ডেনবার্গ রিসার্চের(Hindenbarg Reserch Report) রিপোর্ট প্রকাশ্যে আসার পর রক্তক্ষরণ অব্যাহত আদানি গোষ্ঠীর। করফাঁকি থেকে কারচুপি, এমনকি জালিয়াতির অভিযোগও উঠে এসেছে আদানি গোষ্ঠীর(Adanai Group) বিরুদ্ধে। এরপর থেকে লাফিয়ে লাফিয়ে পড়ছে আদানি গোষ্ঠীর শেয়ার। পরিস্থিতি এতটাই গুরুতর যে মাত্র ৬ দিনে ১০ লক্ষ কোটি টাকা খোয়াল আদানি গ্রুপ। শুধু তাই নয়, মার্কিন বাজারের ডাও জোন্স সূচক থেকে আদানি এন্টারপ্রাইজের নথিভুক্তি বাতিল করে দেওয়া হল। সবমিলিয়ে একরকম দুঃসময় তৈরি হল এই সংস্থায়।
সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, গত ২৪ জানুয়ারি মার্কিন সংস্থা হিন্ডেনবার্গ রিসার্চের রিপোর্টের পর থেকে ছ’টি ট্রেডিং সেশনে আদানি গ্রুপের মূলধন ১০ লাখ কোটি টাকা ‘সাফ’ হয়ে গিয়েছে। যা অর্ধেকেরও বেশি। ওই রিসার্চ রিপোর্টের আগে যে অঙ্কটা ছিল ১৬ লাখ কোটি টাকা। সবথেকে বেশি ধাক্কা খেয়েছে আদানি টোটাল গ্যাস, আদানি এন্টারপ্রাইজ, আদানি গ্রিন এবং আদানি ট্রান্সমিশন। শুক্রবারও বাজার খোলার মাত্র ৯০ মিনিটের মধ্যে ৩৫ শতাংশ পতন হয় আদানি এন্টারপ্রাইজের শেয়ারের। মাত্র ৪৫ দিনে ৪,১৮৯.৫৫ টাকা থেকে আদানি এন্টারপ্রাইজ নেমে যায় ১,০০০ টাকার ঘরে।
এদিকে আদানির পতনে বড়সড় ধাক্কা খেয়েছে দেশের অর্থনীতি। বিশ্বের পঞ্চম বৃহত্তম অর্থনীতির তকমা খোওয়াতে হয়েছে ভারতকে। এই পরিস্থিতিতে ভারতকে টপকে বিশ্বের পঞ্চম বৃহত্তম অর্থনীতি হিসাবে উঠে এসেছে ফ্রান্স (France)। এক ধাক্কায় ৩.২ ট্রিলিয়ন ডলার কমে গিয়েছে ভারতের বাজার মূলধন। এই ঘটনায় সংসদে সরব হয়ে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি। যৌথ সংসদীয় কমিটি বা সুপ্রিম নজরদারিতে তদন্তের দাবি তোলা হয়েছে তাদের তরফে। সব মিলিয়ে আদানি ইস্যুতে পরিস্থিতি ক্রমশ জটিল থেকে জটিলতর হয়ে উঠতে শুরু করেছে।