পথদুর্ঘটনায় জখম হতেই বাপের বাড়িতে রেখে এসেছিলেন স্বামী। কদিন যেতে না যেতেই শ্বশুড়বাড়ির লোকজন স্বামীর মৃত্যুর খবর দেয়। কিন্তু সেকথা মেনে নিতে পারেননি স্ত্রী। আর তাতেই সন্দেহ প্রকাশ করেন মহিলা। তাতেই তেতে ওঠেন ননদ সহ গ্রামের অনান্য মহিলারা।। এরপর মহিলাকে বেড়ধক মারধর করে মুখে চুনকালি মাখিয়ে গলায় জুতোর মালা পরিয়ে গ্রামে ঘোরানো হয়।
আরও পড়ুন:প্রয়াত প্রাক্তন ফুটবলার পরিমল দে
গত সোমবার ঘটনাটি ঘটেচ্ছে মহারাষ্ট্রের নাসিক থেকে ৬৫ কিলোমিটার দূরে শিভরে গ্রামে। পুলিশ সূত্রের খবর, পথদুর্ঘটনায় জখম থাকার দরুন মহিলা ও তাঁর মেয়েরা শ্বশুড়বাড়িতে ছিল। দুবার সেখানে দেখা করতে আসেন তাঁর স্বামী। কিন্তু দিন কয়েক আগেই ওই মহিলার কাছে শ্বশুড়বাড়ির ফন আসে। জানানো হয়, আত্মহত্যা করেছেন তাঁর স্বামী। আর সেকথা মানতে প্রথমে বিশ্বাস করতে পারেননি মহিলা। স্বামী আত্মহত্যা করেছে শুনে বেশ খটকা লেগেছিল তাঁর। গত ৩০ তারিখ নির্যাতিতার স্বামীর শেষকৃত্যের অনুষ্ঠান ছিল। সেখানে সকলের সামনেই নিজের সন্দেহের কথা খুলে বলেন মহিলা। এতেই ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন তাঁর ননদ।
তিনি ও গ্রামের অন্য কয়েকজন মহিলা মিলে বেধড়ক মারধর করেন সদ্য বিধবা বৌদিকে। তারপর তাঁর মুখে চুনকালি লেপে গলায় জুতোর মালা পরিয়ে গ্রামে ঘোরানো হয়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে যায় পুলিশ। তাঁরাই ওই মহিলাকে উদ্ধার করেন। ঘটনায় এখনও কোনও মামলা রুজু করা হয়নি।