ভালোবাসা দিয়েছেন কাশ্মীরিরা, হ্যান্ড গ্রেনেড নয়: প্রবল তুষারপাতের মাঝে শ্রীনগরে রাহুল

0
2

প্রবল তুষারপাতের জেরে সাদা চাদরে মুড়েছে গোটা শ্রীনগর(Shrinagar)। তারই মাঝে দাঁড়িয়ে দৃপ্তকণ্ঠে ভাষণ দিচ্ছেন কংগ্রেস সংসদ রাহুল গান্ধী(Rahul Gandhi)। খোলা ময়দানে রাহুলের বক্তব্য শুনছেন কাশ্মীরের(Kashmir) বহু সংখ্যক মানুষ। সোমবার ‘ভারত জোড়ো যাত্রা’র(Bharat Jodo Yatra) শেষ দিনের এই ছবি মন কেড়ে নিল গোটা দেশবাসীর। নিজের ভাষণে রাহুল গান্ধী জানালেন, হ্যান্ড গ্রেনেড নয় এখানে বিপুল ভালবাসা দিয়েছেন কাশ্মীরিরা। রাহুলের ১৩৫ দিনের কর্মসূচির শেষ দিনের এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত হতে দেখা গেল বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলিকে। ন্যাশনাল কনফারেন্স নেতা ফারুখ আবদুল্লা ও পিপলস ডেমোক্রেটিক পার্টির মেহবুবা মুফতি। পাশাপাশি উপস্থিত ছিলেন কংগ্রেসের(Congress) সাধারণ সম্পাদক প্রিয়াঙ্কা গান্ধীও(Priyanka Gandhi)।

অনুষ্ঠানের শেষ দিনে খোলা আকাশের নিচে প্রবল তুষারপাতের মাঝে দাঁড়িয়ে বক্তব্য রাখতে গিয়ে রাহুল গান্ধী বলেন, “আমার পূর্বপুরুষরাও কাশ্মীরি ছিলেন। কাশ্মীর থেকে গিয়েছিলেন উত্তরপ্রদেশে। পূর্বপুরুষদের কাছ থেকে কাশ্মীরিয়াত পেয়েছি আমি।” তিনি আরো বলেন, “আমি গান্ধীজির কাছ থেকে শিখেছি কীভাবে ভয়ডরহীন বাঁচতে হয়। চারদিন হেঁটেছি এখানে। আমি শুধু ভেবেছি, আমার টি-শার্টের রং বদলে লাল করে দাও। তবে জম্মু ও কাশ্মীরের মানুষ আমাকে লক্ষ্য করে হ্যান্ড গ্রেনেড ছোড়েনি। বরং ভালবাসায় ভরিয়ে দিয়েছে। হৃদয় দিয়ে ভালবাসা দিয়েছে।”

বিজেপির উদ্দেশে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়ে রাহুল গান্ধী আরও বলেন, “বিজেপির কোনও নেতা চারদিন হাঁটতে পারবেন না। জম্মু-কাশ্মীরের মানুষ তাঁকে হাঁটতে দেবে না এমনটা কিন্তু নয়। আসলে বিজেপি ভয় পায়।” রাহুল জানান, বহু বছর ধরে তিনি প্রতিদিন ৮-১০ কিলোমিটার দৌড়ন। কন্যাকুমারী থেকে কাশ্মীর পর্যন্ত হেঁটে যাওয়া অতটা কঠিন হবে না বলে মনে করেছিলেন তিনি। রাহুল বলেন, “ছোটবেলায় ফুটবল খেলার সময় হাঁটুতে চোট পেয়েছিলাম। কন্যাকুমারী থেকে যাত্রা শুরুর পরহাঁটুতে ব্যথা হচ্ছিল। তবে কাশ্মীরে পৌঁছে মনে হল ব্যথার উপশম হল।”

যাত্রার শেষ দিনে টুইটও করেন রাহুল। টুইটারে তিনি লেখেন, “এই যাত্রা আমি আমার জন্য বা কংগ্ৰেসের জন্য করিনি। এই কর্মসূচি আমি ভারতের জনগণের জন্য করেছি। ঘৃণার বাজারে ভালোবাসার দোকান খুলতে করেছি।” একইসঙ্গে ভাষণ শেষে বরফ হাতে খুনসুটি করতে দেখা যায় রাহুল- প্রিয়াঙ্কাকে।