জিটিএ ছাড়ল বিমল গুরুংয়ের দল গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা

0
2

গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা প্রধান বিমল গুরুং আগেই ঘোষণা করেছিলেন জিটিএ ছেড়ে তাঁর দল বেরিয়ে যাবে। সেইমতো আজ, শুক্রবার গোর্খা টেরিটোরিয়াল অ্যাডমিনিস্ট্রেশন ছেড়ে বেরিয়ে গেল গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা। ২০১১ সালে কেন্দ্র-রাজ্য ও গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার মধ্যে ত্রিপাক্ষিক চুক্তি হয়। সেই চুক্তি থেকে বেরিয়ে গিয়ে, জিটিএ ছাড়ার সিদ্ধান্ত আজ, শুক্রবার ঘোষণা করেছেন গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার সাধারণ সম্পাদক রোশন গিরি। এই মর্মে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি দিয়েছে গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা নেতৃত্ব।

গত, সোমবার ২৩ জানুয়ারি কালিম্পংয়ে নবগঠিত ভারতীয় গোর্খাল্যান্ড সংঘর্ষ কমিটির সভা থেকে জিটিএ ছাড়ার কথা ঘোষণা করেছিলেন বিমল গুরুং। ২০১১ সালে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বাংলায় ক্ষমতায় আসার পর জিটিএ চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। কেন্দ্র ও রাজ্যের প্রতিনিধি ও গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার তরফে রোশন গিরি এই চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন। যদিও তখন গোর্খাল্যান্ডের দাবিকে বজায় রেখেই জিটিএ চুক্তিতে স্বাক্ষর করে মোর্চা। কিন্তু তারপরেও পাহাড়ে অশান্তি কমেনি। বিভিন্ন সময় জিটিএ চুক্তি পুরোদস্তুর কার্যকর করার দাবিতে আন্দোলন হয় পাহাড়ে। পৃথক রাজ্যের দাবিতেও উত্তাল হয় পাহাড়। ঝড়ে রক্তও। পাহাড় ছাড়তে হয় বিমল গুরুংকে। এরপর তৃণমূলের সঙ্গে আঁতাত করে গুরুং পাহাড়ে ফিরলেও সম্পর্ক চিরস্থায়ী হয়নি।

সম্প্রতি, পাহাড়ের রাজনীতিতে নয়া সমীকরণ তৈরি হয়েছে। দার্জিলিং পুরসভা হাতছাড়া হওয়ার পর হামরো পার্টির নেতা অজয় এডওয়ার্ড, গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার বিমল গুরুং,
বিনয় তামাংরা মিলে তৈরি করেছেন ভারতীয় গোর্খাল্যান্ড সংঘর্ষ কমিটি। সেই কমিটির সভা থেকেই গুরুং জানান, জিটিএ চুক্তি থেকে বেরিয়ে আসতে তাঁরা কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারকে চিঠি দেবে। এনিয়ে তাঁরা আইনি পরামর্শও নিচ্ছেন। এছাড়াও গোর্খাল্যান্ড আন্দোলনকে কোন পথে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া হবে, তা নিয়ে রোড ম্যাপ ঠিক করতে ৯ সদস্যের কমিটিও গঠন করা হয় ওই সভা থেকে। এই কমিটি ৫ ফেব্রুয়ারির মধ্যে তাঁদের রিপোর্ট দেবে। যে রিপোর্টের ওপর ভিত্তি করেই আন্দোলন কর্মসূচি ঠিক হবে।