পুরো ঘটনায় চমকে উঠলেন সবাই।নাবালিকার বিয়ে রুখতে গিয়েছিলেন। কিন্তু তার আড়ালে যে এমন ভয়ঙ্কর তথ্য লুকিয়ে আছে তা কে জানতো ! জানা গিয়েছে পাত্র এইচ*আইভি পজিটিভ। নিজের রোগ লুকিয়ে পাত্র নাবালিকাকে বিয়ে করতে দিব্যি বসে পড়ছিল বিয়ের পিঁড়িতে। পরে এক আশাকর্মীর কাছ থেকে খবর পেয়ে পুলিশ এসে ভেস্তে দেয় বিয়ে। এই চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে ভগবানপুর থানার আশুতিয়া গ্রামে।জানা গিয়েছে,নাবালিকার বাবা হতদরিদ্র।তিনি চাইছিলেন যে কোনও উপায়ে নিজের নাবালিকা মেয়ের বিয়ে দিতে। মিলেও গিয়েছিল এক পাত্র। মেয়ে নাবালিকা হওয়ায় গোপনে বিয়ের আয়োজন করেছিলেন বাবা। কিন্তু বাড়িতে তোড়জোড় শুরু হতেই মুখে মুখে খবর চাউর হয়ে যায় গ্রামে। এরপরই নাবালিকার বিয়ে রুখতে সাত সকালে সেখানে ছুটে আসেন স্থানীয় আশাকর্মী।
নাবালিকা বিয়েতে আপত্তি জানান তিনি। খোঁজ নেন পাত্রেরও। জানতে পারেন, ছেলের বাড়ি পাশেই পূর্ব রাধাপুর গ্রামে। এরপর ছেলের বিষয়ে খবর নিতে গিয়ে চোখ ছানাবড়া হওয়ার জোগাড়।ওই আশাকর্মী জানতে পারেন এইচ*আইভিতে আক্রান্ত পাত্র।জানা গিয়েছে, ওই যুবক কর্মসূত্রে ভিনরাজ্যে থাকেন। এখনও স্বাস্থ্য দফতরের অধীনে তাঁর চিকিৎসা চলছে। এই খবর শোনামাত্র চক্ষু চরকগাছ আশাকর্মীর। নিজের রোগ লুকিয়ে যেভাবে তিনি একজনকে বিয়ে করতে চলেছিলেন, তা বড়সড় অপরাধের সমান। সঙ্গে সঙ্গে বিষয়টি তিনি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানান।
খবর পেয়ে ভগবানপুর থানার পুলিশ আসে গ্রামে। বিয়ের পিড়ি থেকে পুলিশ অভিযুক্ত বর ও তাঁর সঙ্গীদের থানায় আটক করে নিয়ে যায়। বিষয়টি নিয়ে প্রকাশ্যে মুখ খুলতে চায়নি কন্যাপক্ষ বা পাত্রপক্ষের কেউই।
এই ঘটনা জানাজানি হতেই হতবাক গ্রামবাসীরাও।এই ঘটনায় গ্রামবাসীরা কুর্নিশ জানিয়েছেন আশাকর্মীকে
Sign in
Welcome! Log into your account
Forgot your password? Get help
Password recovery
Recover your password
A password will be e-mailed to you.