‘মিশন গঙ্গা’এর সাংবাদিক বৈঠকে সিপিআইএম এর রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম বলেন, আমাদের স্বভাবের ওপর নির্ভর করছে আমাদের প্রকৃতির ভবিষ্যত। যোশীমঠের ঘটনার ভয়াবহতা উল্লেখ করে শনিবার প্রেসক্লাবে সেলিম বলেন, পাথরের ওপর শহর বানানো হয়েছিল যোশিমঠে।সব কিছুর ভারোত্তোলন ক্ষমতা থাকে। নদীর ধারে বা পাহাড়ে যারা থাকেন অথবা যারা জঙ্গলে থাকেন তাদের সাথে প্রকৃতির একটা নিবিড় যোগাযোগ আছে। কিন্তু রাজনীতিক, প্রশাসকদের সাথে কন্ট্রাক্টর,মফিয়াদের হাত মেলানোয় এই ভারসাম্য নস্ট হচ্ছে।এরপরই তিনি বলেন, আমরা গাছে উঠে থাকব নাকি আমরা থাকবোনা সেটা নির্ভর করছে এই পৃথিবীর ভবিষ্যত কী তার ওপর। মুনাফালোভীরা মনে করে এখনই এটা লুঠ করতে হবে আর যোশীমঠ তার উদাহরণ।একে মানুষের তৈরি করা বিপর্যয় বলেও কটাক্ষ করেন তিনি।
সেলিম আরও বলেন, আজ এটা যোশীমঠে হয়েছে, কাল এটা কলকাতা বা অন্য যেকোন শহর হতে পরে। আমাদের দেশ নদীমাত্রিক দেশ এবং এদেশে নদীর ভূমিকা আছে। হিমালয় না থাকলে,নদী না থাকলে ক্ষতি অনিবার্য। তিনি বলেন, বিগত এপ্রিল থেকে নভেম্বর পর্যন্ত ৫.৫ মিটার বসে গেছিল যোশীমঠ।ইসরোকে এই রিপোর্ট পেশ করতে বাধা দেয় কেন্দ্র সরকার।আইআইটি কানপুরের একটি সমীক্ষার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, সেই সমীক্ষায় উঠে এসেছিল যোশীমঠ অঞ্চল অত্যন্ত ধ্বসপ্রবণ এলাকা। সেলিম বর্তমান কেন্দ্রীয় সরকারকে বিদ্রুপ করে বলেন, আগে এই স্টাডিগুলো হতো আর এখন এই স্টাডি করতে হয়না।
যোশীমঠের বিধ্বংসী ঘটনার কারণ তুলে ধরেন নদী আন্দোলনের সাথে যুক্ত কিছু ব্যক্তিত্ব। মহম্মদ সেলিম ছাড়াও সাংবাদিক সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন তাপস দাস।
তিনি বলেন, মূলত সড়ক,সুড়ঙ্গ বানানোর জন্য এই ধরণের বিপর্যয় বারবার হচ্ছে। পাহাড় ফাটাতে যে ডিনামাইট জাতীয় জিনিস ব্যবহার করা হয় তার ফলেই ক্ষতি হচ্ছে সমগ্র হিমালয়ের।









































































































































