দুর্নীতি খুঁজতে গিয়ে কার্যত নাজেহাল, মহাফাঁপড়ে কেন্দ্রীয় দল

0
1

রাজ্যে তদন্তে এসে মহাফাঁপড়ে কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল (Central Team)। বিজেপি (BJP) নেতাদের অভিযোগ পেয়ে দুর্নীতির তদন্ত করতে বাংলায় এসে কার্যত নাজেহাল তারা। দুর্নীতির অভিযোগের তালিকা হাতে নিয়ে জেলায় জেলায় ঘুরছে কেন্দ্রীয় দল। কিন্তু মিলছে না কিছুই। ফলে এখন তাঁরাই বিরক্ত। কিছু কিছু জায়গায় তো রীতিমতো বিক্ষোভের মুখেও পড়তে হয়েছে তাঁদের। বিপাকে পড়ে এখন কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিরাই বলছেন, বিজেপি নেতারা অভিযোগ করেছিলেন।

জনবিচ্ছিন্ন বিজেপি নেতাদের অভিযোগের ভিত্তিতে গত প্রায় এক সপ্তাহ ধরে ১০টি জেলায় পরিদর্শন চালাচ্ছে পাঁচটি কেন্দ্রীয় দল। কিন্তু এখনও পর্যন্ত কোনও অভিযোগের সমর্থনেই যথাযথ প্রমাণ মেলেনি। অভিযোগগুলি যে আদতে ভিত্তিহীন, বিপাকে পড়ে কার্যত তাও স্বীকার করতে বাধ্য হয়েছেন কেন্দ্রীয় দলের সদস্যরা। সূত্রের খবর, বিভিন্ন জেলায় সরকারি আধিকারিকদের কাছে সে কথা কবুলও করেছেন কেন্দ্রের প্রতিনিধিরা। উত্তরবঙ্গের দার্জিলিং, আলিপুরদুয়ার, কালিম্পং, মালদহ এবং দক্ষিণবঙ্গের দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব বর্ধমান, পূর্ব মেদিনীপুর, পশ্চিম মেদিনীপুর, মুর্শিদাবাদ ও নদীয়ায় আবাসের তালিকা নিয়ে অভিযোগ উঠেছে। সেগুলি যাচাইয়ের লক্ষ্যে সোমবার থেকে পরিদর্শন শুরু করেছে কেন্দ্রীয় দল। কিছু ক্ষেত্রে শনিবার থেকেই শুরু করে তাঁরা। সঙ্গে ছিলেন জেলা ও রাজ্যের প্রতিনিধিরা।

সূত্রের খবর, ১০টি জেলার মধ্যে সর্বাধিক অভিযোগ মুর্শিদাবাদে, সংখ্যা প্রায় ৫০০টি। বাকি জেলাগুলিতে সংখ্যাটা কমবেশি ২০০-২৫০ মধ্যে। তার মধ্যে কয়েকটির তদন্তে সংশ্লিষ্ট এলাকায় যান কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিরা। কিন্তু সেরকম কোনও অনিয়মের সন্ধান পাননি। পশ্চিম মেদিনীপুরে তো অভিযোগকারীদের জনসমক্ষে ধমক দিতেও দেখা গিয়েছে কেন্দ্রীয় দলের সদস্যদের। একটি জেলায় এক উপভোক্তার নাম বাদ যাওয়া নিয়ে তাঁরা উল্টে বলেন, রাজ্য এতটা কঠোর না হলেও পারত। ওই ব্যক্তিকে অনুমোদন দেওয়াই যেত। জেলা প্রশাসন অবশ্য সাফ জানিয়ে দিয়েছে, কেন্দ্রের শর্ত মেনেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ফলে রাজ্যকে হেনস্থা করতে গিয়ে এখন উল্টে নিজেরাই হেনস্তার মুখে কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিরা।

আরও পড়ুন- যৌ*ন হেনস্থার পর এবার খু*নের হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠল ব্রিজভূষণ শরণ-এর বিরুদ্ধে