ঘৃণা ভাষণ ছড়ানোয় দোষী সংবাদ মাধ্যমগুলিও, তীব্র ভর্ৎসনা সুপ্রিম কোর্টের

0
1

দেশে ঘৃণা ভাষণ(hate speech) গুরুতর আকার ধারণ করতে শুরু করেছে। আর এই ঘটনার পিছনে যথেষ্ট ভূমিকা রয়েছে সংবাদ মাধ্যমগুলির(news media)। টিআরপি(TRP) নেশায় সামান্য বিষয়কে অতিরিক্ত উত্তেজনাপূর্ণ করে দেখানো হচ্ছে টিভি চ্যানেল গুলিতে। যার জেরেই সংবাদ মাধ্যমগুলিকে এবার ভর্ৎসনা করল দেশের শীর্ষ আদালত(Supreme Court)। আদালতের তরফে জানানো হলো, “আমরা চাই মুক্ত ভাষণ। এবং সেটা যে কোনও মূল্যে।”

ঘৃণাভাষণ ছড়ানো আটকাতে এবং দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে সুপ্রিম কোর্টে ইতিমধ্যেই একাধিক পিটিশন দায়ের হয়েছে। এই মামলার শুনানিতে আদালতের তরফে জানানো হয়, “ঘৃণাভাষণ হয়ে উঠেছে ভয়ংকর বিপদের কারণ। এটা বন্ধ হতেই হবে।” এরপরই উঠে আসে মিডিয়া টায়ালের কথা। আদালত জানায়, ইদানীং সব কিছুই নির্ধারণ করে দিচ্ছে টিআরপি। চ্যানেলগুলি একে অপরের সঙ্গে প্রতিযোগিতা করতে গিয়ে সমাজে বিভেদ সৃষ্টি করছে। টিআরপির পিছনে ছুটতে গিয়ে সঞ্চালকরা নিজেরাই ঘৃণা ভাষণ ছড়ানোর অন্যতম অংশ হয়ে উঠছেন। এ প্রসঙ্গে উঠে আসে এয়ার ইন্ডিয়া বৃদ্ধার গায়ে প্রস্রাবের ঘটনা। বিচারপতিরা জানান, এখনও এই ঘটনায় অভিযুক্তের বিচার চলছে। এই অবস্থাতেই তাঁর নাম প্রকাশ করে দেওয়া হচ্ছে। তাঁকে অপমান করা হচ্ছে। সকলেরই যে আত্মসম্মান রয়েছে, সেকথা সংবাদমাধ্যম যেন মনে রাখে, তা মনে করিয়ে দিয়েছে শীর্ষ আদালত।

সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতিরা তাদের পর্যবেক্ষণে জানান, “সংবাদপত্রের চেয়েও দৃশ্যশ্রাব্য মাধ্যম আরও বেশি প্রভাবিত করতে পারে মানুষকে।” আর এই ধরনের এজেন্ডা তাঁরাই তৈরি করেন যাঁদের টাকা লগ্নি রয়েছে ওই চ্যানেলগুলিতে, জানাচ্ছে সুপ্রিম কোর্ট। এই সমস্যার সমাধানে সঞ্চালকদের আপত্তিকর ভূমিকা আটকাতে জরিমানার পাশাপাশি তাদের খবর সম্প্রচার প্রসঙ্গে সচেতন থাকার বিষয়ে জানানো হয়েছে আদালতের তরফে।