তিনি কোনও দিনই তৃণমূলপন্থী বলে পরিচিত নন। বরং তাঁকে বামমনস্ক বলেই জানে সকলে। সে হেন নোবেল জয়ী অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেন (Amartya Sen) স্পষ্ট জানিয়ে দিলেন, প্রধানমন্ত্রী হওয়ার যথেষ্ট যোগ্যতা রয়েছে, তৃণমূল (TMC) সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee)। তাঁর এই মন্তব্যের পরেই রাজনৈতিক মহলে সাড়া পড়ে গিয়েছে। নোবেল জয়ী অর্থনীতিবিদের কথায়, “বিজেপির দেশ বিভাজনের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে নেতৃত্বে থাকতে হবে তাঁকে।”
২০২৪-এ লোকসভা নির্বাচন। তার আগে সলতে পাকাতে শুরু করে দিয়েছে সব দলই। বিজেপি (BJP) বিরোধী দলগুলির জোটের মুখ হিসেবে জাতীয় রাজনীতিতে বারবার আলোচিত হচ্ছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম। দিল্লিতে অ-বিজেপি দলগুলির সঙ্গে বেশ কয়েকবার বৈঠকেও বসেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়-অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। এই পরিস্থিতিতে সংবাদসংস্থাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে অমর্ত্য সেন স্পষ্ট জানিয়ে দিলেন, দেশের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী হওয়ার যথেষ্ট যোগ্যতা রয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। তাঁকে বিজেপির দেশ বিভাজনের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে নেতৃত্বে থাকতে হবে। তবে অর্থনীতিবিদের কথায়, বিজেপির বিরুদ্ধে মানুষের ক্ষোভকে, তৃণমূল সুপ্রিমো কতটা টানতে পারবেন সেটাই সবচেয়ে বড় বিষয়- মত অমর্ত্যর।
আগামী লোকসভা নির্বাচনে দিল্লিতে বিজেপি ক্ষমতায় থাকবে না। একথা বারবার বিভিন্ন জায়গায় জানিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর কথায়, আগামী লোকসভা নির্বাচনে তুরুপের তাস হবে আঞ্চলিক শক্তিগুলিই। সেই একই সুর নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদের গলাতেও। চব্বিশের নির্বাচনে আঞ্চলিক শক্তির গুরুত্ব পাবে বলে মনে করেন তিনিও। এ বিষয়ে তৃণমূলের পাশাপাশি তিনি এনসিপি, ডিএমকে, টিআরএস, সমাজবাদী পার্টি জেডিইউ-র উল্লেখ করেন। অমর্ত্যের কথায় মতে, নিজেকে বিরাট শক্তিধর হিসেবে দেখালেও বিজেপির দুর্বলতাও বিস্তর। অ-বিজেপি দলগুলি একসঙ্গে লড়াই করলে আগামী লোকসভা নির্বাচনে বিজেপিকে তাড়ানো সম্ভব।
কংগ্রেসের বিষয়ে তাৎপর্যপূর্ণ মন্তব্য করেছেন নোবেল জয়ী অর্থনীতিবিদ। তাঁর মতে, কংগ্রেস যতটা দুর্বল পরিস্থিতিতে রয়েছে, তাতে তাদের উপর মানুষ কতটা আস্থা রাখবে তা নিয়ে সংসার রয়েছে।
নোবেল জয়ী অর্থনীতিবিদ বরাবরই ঘোষিতভাবে বিজেপি তথা নরেন্দ্র মোদির (Narendra Modi) বিরোধী। তবে, তাঁকে তৃণমূল ঘনিষ্ঠ কখনোই বলা যায় না। উল্টে তিনি বামমনস্ক বলেই পরিচিত। তবে ২০২৪ এর নির্বাচনের আগে, মমতাকে প্রধানমন্ত্রী হওয়ার যোগ্য বলা অমর্ত্য সেনের মন্তব্য রাজনৈতিক মহলের কাছে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ।