অত্যন্ত দ্রুত গতিতে তলিয়ে যাচ্ছে হিমালয়ের কোলে অবস্থিত পাহাড়ি জনপদ যোশিমঠ(Joshimath)। মাত্র ১২ দিনে এই অঞ্চল ৫ সেন্টিমিটার ডুবে গিয়েছে। উপগ্রহচিত্রের মাধ্যমে শুক্রবার এই রিপোর্ট প্রকাশ করেছিল ভারতের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইসরো(ISRO) এবং ন্যাশনাল রিমোট সেন্সিং সেন্টার (এনএইচআরসি)। তবে শুক্রবারের পর শনিবার ওয়েবসাইট(Website) থেকে সরিয়ে নেওয়া হল এই রিপোর্ট। এরপরই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে কেন এই তথ্য সরকারি ওয়েবসাইট থেকে সরিয়ে নেওয়া হল।
উপগ্রহচিত্র পর্যালোচনা করে ইসরো জানিয়েছিল, ২০২২ সালের এপ্রিল মাস থেকে প্রায় ৯ সেন্টিমিটার ডুবে গিয়েছে যোশিমঠ। গত ১২ দিনে এই ডুবে যাওয়ার গতি আরও বেড়েছে। এই কয়েক দিনে ৫ সেন্টিমিটার ডুবেছে যোশিমঠ। ওই রিপোর্টে বলা হয়েছিল সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে যোশিমঠ শহরের মধ্যবর্তী অংশ। তুলনায় পার্শ্ববর্তী অঞ্চলগুলোয় ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ কম। এই রিপোর্ট প্রকাশ্যে আসার পর শুক্রবারও বিপরযস্ত এলাকাগুলি থেকে বাসিন্দাদের সরিয়ে নিয়ে এসেছে উত্তরাখণ্ড সরকার। তবে এই রিপোর্টে সরকারের একটা অংশ যে বেশ ক্ষুব্ধ তা প্রকাশ্যে এসেছে।
এপ্রসঙ্গে সরাসরি কেউ কিছু না বললেও জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা দফতর বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানিয়েছে, সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলির তরফে প্রকাশিত রিপোর্টকে সমাজমাধ্যমে অনেক রকম ভাবে ব্যাখ্যা করে ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। গত ১২ জানুয়ারি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে বৈঠকে বিষয়টি তোলা হয় বলেও জানানো হয়েছে ওই বিজ্ঞপ্তিতে। জনমানসে বিভ্রান্তি এড়াতেই এই ধরনের রিপোর্ট প্রকাশের ক্ষেত্রে সাবধানতা অবলম্বনের কথা বলা হয়। এর পাশাপাশি উত্তরাখণ্ডের শিক্ষামন্ত্রী ধান সিং রাওয়াত সংবাদমাধ্যকে জানান, ইসরোর রিপোর্টে কোনও সরকারি বিবৃতি ছিল না। তিনি এ বিষয়ে ইসরো প্রধানের সঙ্গে কথা বলেছেন বলেও জানিয়েছেন। ‘বৃহত্তর স্বার্থে’ই আপাতত রিপোর্টটিকে সরিয়ে ফেলার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন মন্ত্রী।