আইএস জঙ্গি সন্দেহে দুইজনকে গ্রেফতার করল কলকাতা পুলিশে স্পেশাল টাস্ক ফোর্স । শনিবার দ্বিতীয় হুগলি সেতুতে বাইক ধাওয়া করে নাটকীয় কায়দায় পাকড়াও করা হয় ওই দুই যুবককে।তল্লাশি চালিয়ে তাদের বাড়ি থেকে ল্যাপটপ, মোবাইল ও বেশ কিছু নথি উদ্ধার করেছে পুলিশ। আইএস-এর সঙ্গে কী যোগসূত্র ছিল ওই যুবকদের, তা তদন্তে করে দেখছে পুলিশ।
আরও পড়ুন:আমতায় ‘খু*ন’ তৃণমূল কর্মী! দোষীদের গ্রেফতারের দাবিতে টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ
কলকাতা পুলিশের এসটিএফ সূত্রে খবর, যে দুইজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে, তাদের মধ্যে মাথা হল সাদ্দাম। এই সাদ্দামই অপর গ্রেফতার যুবক সৈয়দ আহমেদকে সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত করেছিল। জেরায় সাদ্দাম জানিয়েছে, সে এম টেক ড্রপ আউট। সাদ্দাম ও তার সঙ্গীকে জেরা করে পুলিশ জানতে চাইছে, অস্ত্র ও বিস্ফোরক জোগাড় করে হামলার ছক ছিল কি না। এই দেশে জঙ্গি সংগঠনের জাল বিস্তারের চেষ্টা করছিল ওই গ্রেফতার যুবকরা, এমনটাও সন্দেহ করছেন গোয়েন্দারা। অর্থ সংগ্রহ ও সংগঠনের জাল বিস্তারের চেষ্টা করা হচ্ছিল বলে জানা গিয়েছে। ধৃত সাদ্দামের একাধিকবার উত্তর ভারতে যাতায়াতের তথ্যও পাওয়া গিয়েছে। সেখানে কাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিল সাদ্দাম? সেই তথ্যও খুঁজে বের করার চেষ্টা করছেন গোয়েন্দারা।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০১৬ সালে সাদ্দাম ইঞ্জিনিয়ারিং পাশ করার পর এই জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত হয় বলে সূত্রের খবর। তারপর থেকে সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে জঙ্গি সংগঠনের ভাবধারা প্রচার করতে শুরু করেছিল। সাদ্দাম ইঞ্জিনিয়ারিং পাশের পর একটি বেসরকারি সংস্থায় কাজ করত। সেখানে কাজ করার আড়ালেই আইএস-এর ভাবধারা প্রচার করত বলে এসটিএফ সূত্রে খবর। গোয়েন্দা সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃতের মোবাইল ও ল্যাপটপ ঘেটে দেখা গিয়েছে, ২০টিরও বেশি টেলিগ্রাম চ্যানেলের সঙ্গে যোগ ছিল। এমনকী সিরিয়া ও সৌদি আরবের সঙ্গেও টেলিগ্রামের মাধ্যমে যোগাযোগ ছিল বলে তথ্য পাওয়া গিয়েছে বলেও জানা গিয়েছে। গোয়েন্দাদের সন্দেহ, সিরিয়া ও সৌদি আরবের আইএস জঙ্গিদের সঙ্গেও ধৃতদের যোগাযোগ থাকতে পারে।