প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Kumar) সহ রাজনৈতিক নেতাদের সমালোচনার জের। আর সেকারণেই আচমকা থামিয়ে দেওয়া হল পদ্মশ্রী প্রাপক (Padma Awardee Rahibai) রাহিবাই পোপরের বক্তব্য। বৃহস্পতিবারই মহিলা সায়েন্স কংগ্রেসের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখছিলেন ‘ভারতের বীজমাতা’। এদিন তিনি তাঁর বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী সহ একাধিক রাজনৈতিক নেতাদের সমালোচনা করেন। এরপরই সঙ্গে সঙ্গে বন্ধ করে দেওয়া হয় তাঁর বক্তব্য।

নাগপুরে ১০৮তম ভারতীয় বিজ্ঞান কংগ্রেসের অংশ হিসাবে মহিলা সায়েন্স কংগ্রেস (women Science Congress) এবং ফার্মার্স কংগ্রেস (Farmers Congress) অনুষ্ঠিত হচ্ছে। আর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অতিথি হিসাবে আমন্ত্রিত ছিলেন পোপেরে। যিনি প্রথাগত চাষের পদ্ধতি নিয়ে দীর্ঘদিন কঠিন পরিশ্রম করে চলেছেন। পাশাপাশি গড়ে তুলেছেন দেশীয় বীজের বিশাল সম্ভার। তবে এদিনের অনুষ্ঠানে ২০ মিনিট বক্তব্য রাখার পর আচমকাই তাঁকে বক্তৃতা থামিয়ে দিতে বলা হয়। কারণ, তাঁর দাবি ছিল, রাষ্ট্রপতি ভবনে পদ্মশ্রী নিতে গিয়ে আহমেদনগর (Ahmednagar) জেলায় তাঁর কোম্ভলনে গ্রামের দুরবস্থার কথা প্রধানমন্ত্রীকে জানিয়েছিলেন তিনি। সেই সময় তাঁর গ্রামে যাওয়ার প্রতিশ্রুতিও দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী। কিন্তু তিনি কথা রাখেননি।

পাশাপাশি বদলায়নি গ্রামের হালও। সেখানে এখনও রাস্তাঘাট তৈরি হয়নি। জল তুলতে পায়ে হেঁটে গ্রামের মেয়েদের তিন কিলোমিটার দূরে যেতে হয়। কিন্তু এরপরই পদ্মশ্রী প্রাপক প্রধানমন্ত্রী এবং প্রাক্তন রাজস্বমন্ত্রী বিজেপির চন্দ্রকান্ত দাদা পাটিলের নাম করেন ও একের পর এক চাহিদার কথা বলেন। এরপরই তাঁকে থামতে বলেন মহিলা বিজ্ঞান কংগ্রেসের আহ্বায়ক কল্পনা পান্ডে।

তবে বিষয়টি নিয়ে ইতিমধ্যেই নিন্দার ঝড় উঠেছে সব মহলেই। বিরোধীদের অভিযোগ, নরেন্দ্র মোদির আসল চেহারা সাধারণ মানুষের সামনে তুলে ধরলেই বিপদ। আর যাই হোক মোদি ও তাঁর সরকারের বিরুদ্ধে কিছু বলা যাবে না। তবে এদিনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নীতিন গড়কড়ির স্ত্রী কাঞ্চন গড়কড়ি এবং ভারতীয় বিজ্ঞান কংগ্রেসের সভাপতি বিজয়শ্রী সাক্সেনা এবং উপাচার্য এস আর চৌধুরী। তবে এবিষয়ে তাঁদের কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।










































































































































