হাইকোর্টে বিপাকে ববিতা সরকার (Bobita Sarkar) । এবার তাঁর বেতনের ১৫ লক্ষ টাকা প্রস্তুত রাখার নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট Calcutta High Court)। নিয়োগ পরীক্ষায় ববিতা সরকারের নম্বর নিয়ে প্রশ্ন ওঠার পর থেকেই মনে করা হচ্ছিল এবার হয়তো তাঁকে বেতনের পুরো টাকাটাই ফেরত দিতে হতে পারে। আর ঠিক সেই আশঙ্কায় সত্যি করে এবার ১৫ লক্ষ টাকা এফডি (FD)করার নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)।
শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে লড়াইয়ের অন্যতম মুখ হয়ে উঠেছিলেন মেখলিগঞ্জের ববিতা সরকার। প্রাক্তন মন্ত্রী পরেশ অধিকারীর মেয়ে অঙ্কিতা অধিকারীর চাকরিটি পেয়েছেন ববিতা সরকার। চার বছর অঙ্কিতার বেতনের টাকাও কোটির নির্দেশে চলে যায় ববিতার অ্যাকাউন্টে। সেই ববিতার চাকরির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। অভিযোগ ববিতা সরকার নিজেই স্নাতক স্তরে নম্বরের শতকরা হার বাড়িয়ে এসএসসিকে (SSC)দেখিয়েছে আর এতেই তার অ্যাকাডেমিক স্কোর বেড়েছে। ববিতা সরকারের একটি আবেদন পত্র ভাইরাল হয়েছে। সেখানে দেখা যাচ্ছে শতকরা ৫৫ শতাংশ নম্বর পেয়েছেন তিনি। অভিযোগ এসএসসিতে ববিতার স্নাতক স্তরের প্রাপ্ত নম্বর এর শতকরা হার ৬০ শতাংশ। অভিযোগ সত্যি হলে পিছিয়ে পড়বেন ববিতা আর উঠে আসে চাকরিপ্রার্থী অনামিকা রায়ের নাম। তাহলে কি এবার অঙ্কিতার মতো ববিতাকেও সমস্ত টাকা ফেরত দিতে হবে, এ প্রশ্ন নিয়ে জল্পনা চলছিল। এবার বড় খবর সামনে এল। পরেশ অধিকারীর মেয়ে অঙ্কিতা অধিকারী থেকে পাওয়া টাকা ববিতাকে জমা দেওয়ার নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। বৃহস্পতিবার বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Abhijit Ganguly) নির্দেশ দিয়েছেন যে ববি তাকে একটি পৃথক ব্যাংক অ্যাকাউন্ট করতে হবে আর তাতে ওই টাকা রাখতে হবে। আগামী চার পাঁচ দিনের মধ্যে এই কাজ সেরে ফেলার কথাও বলা হয়েছে। রাষ্ট্রবিজ্ঞানের শিক্ষিকা হিসেবে অঙ্কিতা যতদিন শিক্ষকতা করেছিলেন তাঁর সব বেতন ববিতাকে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি। এবার তা ফেরত দিতে হবে মনে করছেন মহলের একাংশ। আগামী সোমবার বিচারপতি এই মামলার রায় দেবেন। ববিতার আইনজীবী বলেন সংরক্ষণ জনিত ছাড় পেয়েছেন ববিতা । কিন্তু কমিশন জানায় এই সুবিধা পরীক্ষায় বসার ক্ষেত্রে হতে পারে, চাকরি পাওয়ার জন্য নম্বর বাড়াতে নয়। সব দিক বিচার করেই অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় ১৫ লক্ষ টাকা প্রস্তুত রাখার কথা বলেন । কারণ যদি দেখা যায় ববিতার চাকরি থাকছে না সেক্ষেত্রে এই টাকা ফেরত দিতে হবে।