শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় জেলে আছেন মধ্যশিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়। জামিনের আর্জি জানিয়ে মামলা করেছিলেন তিনি। কিন্তু শুনানি শেষ হওয়ার আগেই সেই মামলা প্রত্যাহার করলেন এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতিতে অভিযুক্ত কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়। বুধবারই তাকে আবেদন প্রত্যাহারের সুযোগ দিয়েছিল হাইকোর্ট। সেই অনুযায়ী বৃহস্পতিবার তাঁর আইনজীবীরা জানান যে, কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায় জামিনের আবেদন প্রত্যাহার করতে চান।
বুধবার বিচারপতি জয়মাল্য বাগচী তাঁর মৌখিক পর্যবেক্ষণে জানিয়েছিলেন, সিবিআই এই মুহূর্তে আর্থিক দুর্নীতির দিকটি খতিয়ে দেখছে, তাই এই মুহূর্তে জামিন দেওয়া সম্ভব নয়। তাই আবেদন প্রত্যাহার না করলে তা খারিজ করা হবে। সেই মোতাবেক বৃহস্পতিবার জামিনের আবেদন প্রত্যাহার করলেন কল্যাণময়। বুধবারই সিবিআই-কে বিচারপতি জয়মাল্য বাগচীর পরামর্শ ছিল, নিয়োগ দুর্নীতিতে আর্থিক লেনদেন খুঁজে দেখুন। অযোগ্যদের চাকরি নিশ্চয় ভালবাসার বশবর্তী হয়ে দেওয়া হয়নি।
বিচারপতির মন্তব্য ছিল, ”কতদিন জেলবন্দি করে রাখতে পারবেন? গোটা বিচার প্রক্রিয়া ঠিক সময়ের মধ্যে শেষ করতে পারবেন? তদন্ত শেষ করুন।” কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়ের আইনজীবী শেখর বসুর পাল্টা যুক্তি দেন, ১১৩ দিন জেলে আছেন কল্যাণময়। চার্জশিট দাখিল হয়ে গেছে। অবৈধ নিয়োগ দিয়েছেন বলে অভিযোগ করা হয়েছে। জামিন দেওয়া হোক। অন্যদিকে, সিবিআইয়ের আইনজীবী অরুণ মাইতির পাল্টা সওয়াল ছিল, আদালতের নির্দেশে তদন্ত করছি। অনুসন্ধানের সময় বেনিয়ম পেয়েছি বলে গ্রেফতার করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার বিচারপতি জয়মাল্য বাগচী স্পষ্ট করে জানিয়ে দিয়েছেন, সিবিআই যেভাবে তদন্ত করছে তা তারা চালিয়ে যেতে পারবে। ফলে কল্যাণময় আপাতত জেলেই থাকবেন। কল্যাণময়ের বিরুদ্ধে এর আগে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় চার্জশিট দিয়েছে সিবিআই। সেখানে বলা হয়েছে, মধ্যশিক্ষা পর্ষদের দফতরে বসেই টাকা লেনদেন, প্যানেল অদলবদল সংক্রান্ত বিষয়ে কলকাঠি নেড়েছিলেন তিনি।শান্তিপ্রসাদ সিনহার সঙ্গে চক্রান্তে যুক্ত ছিলেন কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়। শান্তি প্রসাদ সিনহার কাছ থেকে সুপারিশ পত্র নিয়ে নিজেই সরাসরি নিয়োগপত্র দিতেন। প্যানেলের মেয়াদ শেষ হওয়ার পরে নিয়োগপত্র দেওয়া হত।