দাদা রাহুলের (Rahul Gandhi) প্রশংসায় পঞ্চমুখ বোন প্রিয়াঙ্কা গান্ধী (Priyanka Gandhi)। পাশাপাশি তিনি নাম না করে পরিষ্কার বুঝিয়ে দিলেন রাহুল গান্ধীর সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (Narendra Modi) ফারাক। মঙ্গলবারই উত্তরপ্রদেশে (Uttar Pradesh) প্রবেশ করেছে কংগ্রেসের ভারত জোড়ো যাত্রা (Bharat Jodo Yatra)। সেই পদযাত্রায় অংশ নিয়ে কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক প্রিয়াঙ্কা গান্ধী বলেন, দেশে সরকার, সরকারি সংস্থা সবই আম্বানি (Ambani)-আদানিরা (Adani) কিনে নিয়েছেন। কিনেছেন রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা থেকে শুরু করে সংবাদমাধ্যমকেও। কিন্তু ওঁরা আমার দাদাকে কিনতে পারেননি। কোনওদিন পারবেনও না। আমি ওঁকে নিয়ে গর্বিত। তবে এদিন দাদা রাহুল সম্পর্কে বলতে গিয়ে আবেগঘন হয়ে পড়েন প্রিয়াঙ্কা।
প্রিয়াঙ্কা এদিন আরও জানান, আমার দাদা সৎ ও নির্ভীক। সে কখনও কাউকে ভয় পায় না। এজেন্সির (Agency) ভয় দেখিয়েও তাঁকে চুপ করানো যায় না। আমার দাদার জন্য গর্বিত। কেন্দ্রীয় সরকার হাজার কোটি টাকা খরচ করেছে ওর ভাবমূর্তি নষ্ট করতে। কিন্তু সমস্ত প্রচেষ্টাই ব্যর্থ হয়েছে। উল্লেখ্য, ভারত জোড়ো যাত্রায় রাহুল গান্ধীর নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে কংগ্রেস স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহকে চিঠি দিয়েছিল। সেই প্রসঙ্গ তুলে প্রিয়াঙ্কা বলেন, আমার দাদা নিরাপত্তা নিয়ে চিন্তা করে না। সে এক নির্ভীক মানুষ। দাদা রাহুলের সঙ্গে একাধিকবার ভারত জোড়ো যাত্রায় পা মিলিয়েছেন বোন প্রিয়াঙ্কা। রাহুলের পাশে দেখা গিয়েছে প্রিয়াঙ্কার স্বামী এবং ছেলেমেয়েদেরও।
তবে রাহুল গান্ধী সম্প্রতি বারবার বলেছেন, ঘৃণার বাজারে ভালবাসার দোকান খুলতে এসেছেন তিনি। মঙ্গলবার প্রিয়াঙ্কার গলাতেও সেই সুর শোনা গেল। কংগ্রেস নেত্রীর আর্জি, উত্তরপ্রদেশের মানুষ যেন নিজের মতো করে ওই দোকানের ফ্র্যাঞ্চাইজি খোলেন। এরপরই রাহুলকে যোদ্ধা বলে বর্ণনা করেন প্রিয়াঙ্কা। মঙ্গলবার পদযাত্রা শেষ পর্বে দিল্লি থেকে শ্রীনগরের দিকে রওনা হয়েছে। অন্তিম পর্বের প্রথম দিনেই দাদার পাশে ফের দেখা গেল কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক প্রিয়াঙ্কাকে। কংগ্রেস সূত্রে খবর, এই পর্যায়ে সোনিয়া কন্যা অনেকটা পথ দাদার পাশেই থাকবেন। ২৬ তারিখ শ্রীনগরে যাত্রার অন্তিম দিনেও হাজির থাকবেন প্রিয়াঙ্কা। কংগ্রেস সূত্রে আরও খবর, রাহুলের যাত্রা শেষ হতেই বিভিন্ন রাজ্যে মহিলাদের অধিকার আদায়ের আন্দোলন শুরু করবেন প্রিয়াঙ্কা।