গত, ২৪ ডিসেম্বর অভিনেত্রী তুনিশা শর্মার (Tunisha Sharma) আত্মহ*ত্যার পরদিনই গ্রেফতার করা হয় তাঁর প্রেমিক শীজান খানকে (Sheezan Khan)। তুনিশার মা অভিযোগ করে বলেছিলেন, তাঁদের মেয়েকে আত্মহ*ত্যায় প্ররোচনা দিয়েছেন এই অভিনেতা শীজান (Sheezan Khan)। এবার তুনিশার (Tunisha Sharma)পরিবারের সেই অভিযোগ নস্যাৎ করে দিল শীজানের পরিবার। অভিনেতার বোনের দাবি, “আমার ভাইয়ের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করা হচ্ছে। লাগাতার সেটা করে যাচ্ছেন অভিনেত্রী তুনিশার মা ভনিতা শর্মা।”
মা ও বোনকে পাশে বসিয়ে সাংবাদিক সম্মেলন করে শীজান খানের বোন ফলক বলেন, “তুনিশা আমাদের পরিবারের সদস্যের মতোই ছিলেন। আর তুনিশাকে হিজাব পরতে বাধ্য করার যে অভিযোগ উঠছে, তা সম্পূর্ণ মিথ্যে। কারণ, এমন কোনও ঘটনা কোনওদিনই ঘটেনি।” শুধু তাই নয়, মৃতা অভিনেত্রীর পরিবার নিয়ে একগুচ্ছ অভিযোগ করে শীজানের মা বলেন, “তুনিশার উপর তাঁর মা ভনিতা এবং এক আত্মীয় সঞ্জীব কৌশলের প্রচণ্ড প্রভাব ছিল। সামান্য টাকার জন্যও তুনিশাকে তাঁর মায়ের কাছ হাত পাততে হতো। কার্যত ওই আত্মীয় ও মা ভনিতাই তুনিশার জীবন নিয়ন্ত্রণ করতেন। সেকারণেই সঞ্জীবের সঙ্গে তুনিশার সম্পর্ক একেবারেই ভালো ছিল না।”
শীজানের বোন আরও বলেন, “অন্যদিকে অভিনেত্রীর আর এক কাকা পবন শর্মা ছিলেন তাঁর প্রাক্তন ম্যানেজার। আত্মীয় হওয়ার সূত্রে তিনি তুনিশার উপর জোর খাটাতেন এবং প্রচণ্ড খারাপ ব্যবহার করতেন। যার জেরে পবনের ম্যানেজারের চাকরিও চলে যায়।”
শীজান ব্রেকআপ করায় তুনিশা মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছিলেন। সেজন্যই তিনি আত্মহত্যা করেন বলে অভিযোগ উঠেছে। তবে অভিনেত্রীর মানসিক অবস্থার জন্য তাঁর নিজের পরিবারই দায়ী বলে দাবি করেন ফলক। তাঁর দাবি, প্রয়াত অভিনেত্রী শৈশবে সেভাবে মায়ের সান্নিধ্য পাননি। সেকথা ভনিতাও স্বীকার করেছেন যে, তিনি সঠিকভাবে মেয়ের দিকে নজর দিতে পারেননি। আর সেই মানসিক চাপই তুনিশাকে শেষ করে দিয়েছে। শৈশবের সেই যন্ত্রণাই ২০ বছরে এসে তুনিশাকে আত্মহ*ত্যার পথে ঠেলে দেয় বলে দাবি করেন ফলক।