গ্রামোন্নয়ন খাতে কেন্দ্রীয় বরাদ্দ দ্রুত খরচ করতে তৎপর নবান্ন

0
1

আবাস যোজনার পর এবার গ্রামোন্নয়ন খাতে পঞ্চদশ অর্থ কমিশনের (Finance Commission) বরাদ্দ অর্থ দ্রুত ও যথাযথ ভাবে খরচ করতে তৎপর নবান্ন (Nabanna)। প্রশানিক সূত্রে খবর, চলতি আর্থিক বছরে বরাদ্দের অর্ধেকের বেশি এখনও খরচ করা যায়নি। এই বিষয় নিয়ে জেলাগুলির সঙ্গে বৈঠক করে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন মুখ্যসচিব (Chief Secretary) হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী (Harikrishna Dwibedi)। দ্রুত যাতে ওই টাকার সদব্যবহার করা যায় নিয়েও নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।


পঞ্চদশ অর্থ কমিশন গ্রামোন্নয়ন খাতে প্রথম কিস্তিতে রাজ্য সরকারকে (State Government) চলতি আর্থিক বছরে খরচের জন্য ৫ হাজার ২৪৭ কোটি টাকার বেশি বরাদ্দ করে। যার মধ্যে ২৪৪৬ কোটি টাকার বেশি এখনও খরচ করা যায়নি। যা মোট বরাদ্দের ৫০.৪৬ শতাংশ। এর মধ্যে পানীয় জল সরবরাহ এবং শৌচালয় (Toilet) নির্মাণ খাতে ১৫২৭ কোটি টাকা খরচ হয়নি। অন্যান্য উন্নয়নমূলক তহবিলে পড়ে রয়েছে ৯১৯ কোটি ২৬ লক্ষ টাকা। বরাদ্দের ৫০ শতাংশের কম টাকা খরচ হয়েছে ৭৬টি পঞ্চায়েত সমিতি এলাকায়। ৫২৫ টি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় একই ঘটনা ঘটেছে। এরই মধ্যে সম্প্রতি পঞ্চদশ অর্থ কমিশনের দ্বিতীয় কিস্তির ১৬৫২ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। তাই বিষয়টি নিয়ে তৎপর প্রশাসনের শীর্ষ মহল।

রাজ্যের পঞ্চায়েত সচিব পি উল্গানাথন জেলাশাসকদের চিঠি দিয়ে আগেই জানিয়ে দিয়েছে, এই টাকা যাতে পাওয়া মাত্রই খরচ করা যায় সেজন্য আগে থেকে প্রস্তাবিত প্রকল্পগুলি চূড়ান্ত করে ফেলতে বলা হয়েছে। যাতে দ্বিতীয় কিস্তির টাকা হাতে আসার সঙ্গে সঙ্গেই কাজ শুরু করে দেওয়া যায়। পঞ্চায়েত দফতর টাইমলাইনে জেলাগুলিকে বলেছে, প্রকল্প চিহ্নিত করুন। ৩০ ডিসেম্বরের মধ্যে গ্রাম পঞ্চায়েত, পঞ্চায়ত সমিতি, জেলাপরিষদ সাধারণ সভা ডেকে অনুমোদন করিয়ে নিতে বলা হয়েছে। আগের প্রকল্পের জন্য অতিরিক্ত ব্যায় হয়ে থাকলে সে নিয়েও সাধারণ সভায় চূড়ান্ত অনুমোদন করিয়ে রাখুন। এই অনুমোদন পাওয়ার পরই তা ই-গ্রামস্বরাজ পোর্টালে আপলোড করে দিন। নতুন প্রকল্পগুলি অনুমোদনের পরই তা চূড়ান্ত পরিকল্পনা ও খরচের রূপরেখা আইনি অনুমোজনের জন্য সংশ্লিষ্ট ভেটেড করার জন্য সংশ্লিষ্ট দফতরের কাছে পেশ করুন। ৯জানুয়ারির মধ্যে তা করে ফেলতে হবে। তারপরই এই ভেটড স্কিম বা প্রকল্পগুলি ত্রিস্তরীয় গ্রাম পঞ্চায়েতে সাধারণ সভায় অনুমোদন করাতে হবে। ১৪ জানুয়ারির মধ্যে টেন্ডার ডাকার জন্য প্রয়োজনীয় সমস্ত কাজ শেষ করে রাখতে হবে। যাতে দ্বিতীয় কিস্তির টাকা বরাদ্দ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই কাজ শুরু করে দেওয়া যায়।