শীতের আমেজ গায়ে মেখে কলকাতার বুকে জমজমাট ইনডাস্ট্রিয়াল ইন্ডিয়া ট্রেড ফেয়ার।রাজারহাট নিউটাউনে বেঙ্গল ন্যাশনাল চেম্বার অফ কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রির আয়োজনে ৩৫ তম এই বাণিজ্য মেলায় মহিলাদের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো।হাজির ছিলেন রাজ্যের মন্ত্রী শশী পাঁজা, বিএনসিসিআই এর সভাপতি দেবাশীষ দত্ত, ওমেন এমপাওয়ারমেন্ট স্ট্যান্ডিং কমিটির চেয়ারপারসন শ্রীমতি শালিনী ঘোষ, বিএনসিসিআইয়ের প্রথম মহিলা সভাপতি শ্রীমতি নয়নতারা পালচৌধুরী, প্রগতির প্রেসিডেন্ট সোমা চন্দ্র প্রমুখ বিশিষ্টরা।
এই মেলায় মঙ্গলবার এদিন আলোচনার বিষয় ছিল ‘নারীর ক্ষমতায়ন’।কী ছিল না এখানে। শীতবস্ত্র থেকে মহিলাদের জামাকাপড়। রাজ্যের হস্তশিল্পীদের কারু শিল্প, সুফল বাংলার স্টল, কম দামের নজরকাড়া গয়নার সম্ভার থেকে শুরু করে অবশ্যই বিভিন্ন নজর কাড়া খাবারের স্টল।
এই প্রসঙ্গে মন্ত্রী শশী পাঁজা উল্লেখ করেন, পঞ্চায়েত নির্বাচনে শুধুমাত্র নারীরা প্রার্থী হবেন বলে বেশ কিছু আসন সংরক্ষিত করা আছে। এমনকি রাজ্যের শাসকদলেও বিভিন্ন পদে নারীরা দক্ষতার সঙ্গে কাজ করছেন। তিনি স্মরণ করিয়ে দিয়ে বলেন, একটা সময় আমরা ভাবতেই পারতাম না যে যুদ্ধক্ষেত্রে একেবারে সামনে থাকবে নারীরা। কিন্তু সেটাও বাস্তব এখন। তাই ইতিহাসকে নিয়েই বর্তমানকে চলতে হবে। আর এখানেই নারীর প্রগতি, নারীর ক্ষমতায়নের সার্থকতা।
নয়নতারা পালচৌধুরী বলেন, মহিলাদের তৈরি এই হাতের কাজ এবং শিল্প এখন বিদেশেও পাড়ি দিচ্ছে। যা নারী প্রগতিকে কয়েক ধাপ এগিয়ে দিতে সাহায্য করছে।
দেবাশীষ দত্ত বলেন, নারী মানে শক্তির উৎস। আর সেখান থেকেই আমরা সব থেকে বেশি শক্তি পাই। তাই নারীর ক্ষমতায়ন বলতে আমি ব্যক্তিগতভাবে আমার মনে হয় জেলা এবং প্রত্যন্ত অঞ্চলে নারী শক্তির বিকাশ। আমাদের এ রাজ্যে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্যোগে নারী উন্নয়ন অন্যান্য রাজ্যের তুলনায় অনেক বেশি। আমরা যদি কৃতী মহিলাদের অভিজ্ঞতার কথা প্রত্যন্ত এলাকার মহিলাদের কাছে পৌঁছে দিতে পারি তবে তাদের এগিয়ে যাওয়ার পথে সেটা অনেক বড় প্রাপ্তি হবে।