‘ক্ষমতার লোভে’ তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে বিপ্লব ওঝা !

0
1

তৃণমূল (TMC) ছেড়ে এবার পদ্মফুলে যোগ দিলেন নলহাটি পুরসভার (Nalhati Municipality) প্রাক্তন চেয়ারম্যান বিপ্লব ওঝা (Biplab Ojha) । মঙ্গলবার তৃণমূল কংগ্রেস ছাড়ার পর নলহাটিতে শুভেন্দু অধিকারীর (Shuvendu Adhikari) সভায় বিজেপির (BJP) পতাকা হাতে তুলে নিতে দেখা যায় তাঁকে। তৃণমূল দলে তাঁর গ্রহণযোগ্যতা নেই এই অভিযোগ তুলে তিনি দলত্যাগ করেছেন। অথচ পরিসংখ্যান বলছে তৃণমূল কংগ্রেসের একাধিক গুরুত্বপূর্ণ পদে আসীন ছিলেন তিনি। কিন্তু কোনওবারই দলের প্রত্যাশা পূরণ করতে পারেননি।

বীরভূমের তৃণমূল কংগ্রেসের সহ সভাপতি ছিলেন বিপ্লব। ২০০৯ সালে কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেন। সেই সময় নলহাটি পুরসভার চেয়ারম্যান ছিলেন। ২০১২ সাল পর্যন্ত পুরপ্রধান ছিলেন তিনি। ২০১৩ সালে নলহাটি বিধানসভা উপনির্বাচনে তৃণমূলের টিকিট পেয়ে লড়াই করলেও তিনি হেরে যান, পরবর্তীতে তাঁকে বীরভূমের জেলা সভাপতি করা হয়। তৃণমূল কংগ্রেসের তরফ থেকে তাঁকে একাধিক সুযোগ-সুবিধা দেওয়া হলেও কিছুতেই সন্তুষ্ট ছিলেন না তিনি বলেই তৃণমূলের তরফ থেকে পাল্টা অভিযোগ করা হয়েছে। বিপ্লব ওঝা (Biplab Ojha) জানিয়েছেন গত এক বছর ধরে তৃণমূলের কোনও কর্মসূচিতে তাকে ডাকা হচ্ছিল না। এতে তাঁর মনে অভিমান জন্মায়। কিন্তু দলের প্রতি অভিমানের জেরে দল ত্যাগ করার সঙ্গে সঙ্গেই বিজেপির পতাকা হাতে তুলে নেওয়ার মধ্যে অন্য অভিসন্ধি খুঁজে পাচ্ছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। কানাঘুষো শোনা যায় যে ক্ষমতার লোভ কিছুতেই সামলাতে পারছিলেন না বিপ্লব। তাই কি তিনি এবার বিজেপিতে? নলহাটিতে শুভেন্দু অধিকারীর (Subhendu Adhikari) সভায় তিনি বিজেপির পতাকা হাতে তুলে নেন। উপস্থিত ছিলেন লকেট চট্টোপাধ্যায় (Locket Chatterjee) সহ অন্যান্যরা। আরেক সহ-সভাপতি মলয় মুখোপাধ্যায় (Malay Mukherjee) জানান দলের তরফ থেকে একাধিক সুযোগ দেওয়া হয়েছিল বিপ্লবকে। বিগত নির্বাচনে তাঁর কাজের যোগ্য সম্মান দিয়েছিল দল বলে জানান তিনি। কিন্তু তিনি কোনও ভাবেই দলের নিয়ম মেনে কাজ করতে পারছিলেন না। তৃণমূলের তরফ থেকে আগেই স্পষ্টভাবে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে যে দলে থাকতে হলে মানুষের জন্য কাজ করতে হবে। তাহলে কি সাধারণ মানুষের সার্টিফিকেট পাবেন না এই আশঙ্কায় আগেভাগেই দল ছেড়ে অন্য দলে ‘শেল্টার’ নিলেন বিপ্লব ওঝা, উঠছে প্রশ্ন।