নতুন বছরের ক্যালেন্ডার প্রকাশ করে সম্প্রীতি-উন্নয়ন-সংগ্রামের বার্তা তৃণমূলের

0
1

২০২৩ সালের বার্ষিক ক্যালেন্ডার প্রকাশ করেছে সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেস। আপাত দৃষ্টিতে একটি ক্যালেন্ডার মনে হলেও এখানে রাজনৈতিক বার্তা দেওয়া হয়েছে। মূলত উন্নয়ন, সম্প্রীতি ও লড়াই-সংগ্রামের কথা বলা হয়েছে নতুন বছরের ক্যালেন্ডারের। তৃণমূলের তরফে প্রকাশিত ক্যালেন্ডারে স্পষ্ট বার্তা, সম্প্রীতির বাংলায় বিভাজনের কোনও জায়গা নেই।

আরও পড়ুন:শুভেন্দুর বিরুদ্ধে কল্যানী আদালতে মামলা দায়ের তৃণমূল নেতার

২০২৩ সাল রাজনৈতিক দিক থেকে বাংলার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি বছর। নতুন বছরে রয়েছে রাজ্যের পঞ্চায়েত ভোট। ‘২৪-এর লোকসভা ভোটের আগে গ্রাম বাংলার মানুষের মনোভাব বুঝে নিতে পঞ্চায়েত নির্বাচন প্রতিটি রাজনৈতিক দলের কাছে এসিড টেস্ট। গ্রাম বাংলার এই ভোট নিয়ে ইতিমধ্যে রাজনৈতিক উত্তাপও চড়তে শুরু করে দিয়েছে। আর ২০২৩ সালে রয়েছে দেশের একাধিক রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন। ঠিক তার পরের বছর দেশের সরকার গড়ার নির্বাচন। তাই আগামী বছর রাজনৈতিক দিক থেকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হতে চলেছে। বার্ষিক ক্যালেন্ডারেরও দলের রাজনৈতিক বীজমন্ত্র নির্ধারিত করেছে ঘাসফুল শিবির।

দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি দিয়ে “সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেস কর্তৃক প্রচারিত” ২০২৩ সালের ক্যালেন্ডার প্রকাশিত হয়েছে। তাতে বার্তা দেওয়া হয়েছে, ‘লড়াই, সংগ্রাম, উন্নয়ন।’ অর্থাৎ তৃণমূল সাফ কথায় বুঝিয়ে দিয়েছে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশ মতো জনস্বার্থে লড়াই, সংগ্রাম চালিয়ে যাবেন কর্মীরা। সেই লড়াইয়ের প্রথম ও প্রধান লক্ষ্যই হল মানুষের জন্য উন্নয়ন করা।

বার্ষিক ক্যালেন্ডারে তৃণমূল উল্লেখ করেছে, “সম্প্রীতির বাংলায় আলোয় বর্ষবরণ”। এখানেই তৃণমূল নেতৃত্ব বলেছেন, বিভাজনকে কোনওভাবে প্রশ্রয় দেয় না বাংলা। ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সকলের সহাবস্থান বাংলায়। সম্প্রীতির এই ছবিটাই অনন্য। বিভেদকামী শক্তির বিরুদ্ধে লড়াই চলবে। পাশাপাশি উন্নয়নের মন্ত্রে দীক্ষা নিতে হবে গোটা তৃণমূল পরিবারকে।