সম্প্রতি পুলিশের বিরুদ্ধে হেনস্তার অভিযোগ এনেছিলেন সঙ্গীতশিল্পী রশিদ খানের পরিবার। অভিযোগ পাওয়ার পরই শুরু হয় বিভাগীয় তদন্ত। জয়েন্ট সিপি (মর্ডানাইজেশন ) ও ডিসি ইডির করা বিভাগীয় তদন্তের রিপোর্ট এবার সামনে এলো। যেখানে পুলিশকে স্পষ্টতই ক্লিনচিট দেওয়া হয়েছে।
পুলিশের বিরুদ্ধে রশিদ খানের পরিবারের অভিযোগ ছিল, গভীর রাতে তাঁদের এক পরিচিত সঙ্গীতশিল্পীকে বিমানবন্দরে পৌঁছে দিতে গিয়েছিল তাঁদেরই গাড়ি। বিমানবন্দরে যাওয়ার পথে বেলেঘাটা ট্র্যাফিক গার্ডের পুলিশ আধিকারিকরা হঠাৎই গাড়ির পথ আটকায়। গাড়ির চালক ও দেহরক্ষীর কাছ থেকে ঘুষ চাওয়া হয়। ঘটনার প্রতিবাদ করতেই দুর্ব্যবহারও করা হয় পুলিশের তরফে। পরে অবশ্য চালক ও গাড়িকে ছেড়ে দেওয়া হয়।
শিল্পীর পরিবারের তরফ থেকে রাজ্যের মন্ত্রী ইন্দ্রনীল সেনকে ফোন করে ঘটনাটি জানানো হয়। জয়েন্ট সিপি (মর্ডানাইজেশন ) ও ডিসি ইডি নেতৃত্বে শুরু হয় বিভাগীয় তদন্ত। জানা যাচ্ছে, ভিডিও ক্লিপের পাশাপাশি অডিও ক্লিপের মতো ডিজিটাল এভিডেন্সও খতিয়ে দেওয়া হয়। তারপরই এই ঘটনায় পুলিশকে ক্লিনচিট দেওয়া হয়।
পুলিশের বিরুদ্ধে আনা রশিদ খানের স্ত্রীর অভিযোগের কোনও সত্যতা পাওয়া যায়নি বিভাগীয় তদন্তে। বরং তদন্তের সময় যে অডিও ক্লিপটি হাতে এসেছে, সেখানে রশিদ খানের স্ত্রী এবং পরিবারের মহিলা সদস্যদের বলতে শোনা যায়, বেশি সংখ্যায় মহিলা রাতে থানায় গেলে পুলিশ বিপাকে পড়বে, কারণ ওই সময় থানায় মহিলা পুলিশ কম থাকে। তবে মিথ্যা অভিযোগের জন্য পুলিশ রশিদ খানের স্ত্রী, গাড়িচালক ও সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে পাল্টা কোনও আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করে কি না, এখন সেটাই দেখার।