দলে ‘একনায়কতন্ত্র’ চালানোর অভিযোগ! আজাদের হাত ছেড়ে কংগ্রেসে ফেরার প্রস্তুতি অনুগামীদের

0
3

দলের অন্দরে একনায়কতন্ত্র চালাচ্ছেন, সেটা মেনে নেওয়া যায় না। আর এই অভিযোগেই একে একে গুলাম নবি আজাদের (Gulam Nabi Azad) সঙ্গ ছাড়ছেন অনুগামীরা। মাস চারেক আগেও যিনি জাতীয় রাজনীতির প্রথম সারির মুখ ছিলেন, এখন তিনিই কার্যত ব্যাকফুটে। তবে শুধু জাতীয় রাজনীতিই নয়, কাশ্মীরের (Jammu and Kashmir) রাজনীতিতেও ক্রমশ কোণঠাসা হচ্ছেন আজাদ। গত সপ্তাহেই আজাদের নতুন দল ছেড়ে কংগ্রেসে ফেরার প্রস্তুতি শুরু করেছেন শতাধিক নেতা। তাঁরা জানিয়েছেন আজাদের সঙ্গে দল ছাড়াটা তাঁদের মারাত্মক ভুল ছিল।

বিদ্রোহী নেতাদের কথায়, আজাদ যখন কংগ্রেস (Congress) ছাড়েন তখন সহমর্মিতা থেকে আমরা তাঁর পাশে দাঁড়াই। কিন্তু তিনি যেভাবে দলের অন্দরে একনায়কতন্ত্র চালাচ্ছেন, সেটা মেনে নেওয়া যায় না। কংগ্রেসে থাকাকালীন তিনি দলের নেতাদের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করেন। জি-২৩ গ্রুপ তৈরি করেন, তাও কংগ্রেস তাঁকে বরখাস্ত করেননি কারণ কংগ্রেসের অন্দরে গণতন্ত্র আছে। অথচ আজাদ নিজে দলে একনায়কতন্ত্র চালাচ্ছেন। পাশাপাশি রাহুল গান্ধীর ভারত জোড়ো যাত্রাতেও যোগ দেবেন বিক্ষুব্ধ আজাদ ঘনিষ্ঠরা। এখন তাঁদের কংগ্রেসে যোগদান শুধু সময়ের অপেক্ষা।

আজাদের দলে ঝামেলার সূত্রপাত ডেমোক্র্যাটিক আজাদ পার্টির (Dempcratic Azad Party) রাজ্য সভাপতি নিয়োগকে কেন্দ্র করে। আজাদের মনোনীত রাজ্য সভাপতিকে মানতে না পেরে দলের অন্দরে বিক্ষোভ শুরু করেছিলেন কাশ্মীরের প্রাক্তন উপমুখ্যমন্ত্রী তথা প্রাক্তন কংগ্রেস নেতা তারা চাঁদ (Tara Chand), প্রাক্তন মন্ত্রী মনোহরলাল শর্মা এবং প্রাক্তন বিধায়ক মনোহর লাল শর্মা। অভিযোগ ফের কংগ্রেসের সঙ্গে যোগাযোগ শুরু করেন তাঁরা। এরা তিনজনই ছিলেন আজাদের দলের সবচেয়ে বড় স্তম্ভ। আজাদ এদের তিনজনকেই দল থেকে বরখাস্ত করেন। তাতেই তাঁর দলে বিক্ষোভ চরম আকার নেয়। একে একে দল ছাড়েন শতাধিক পদাধিকারী।