পর্যটকরা সৌন্দর্য উপভোগ করতে এখন নিশ্চিন্তে আসছেন,এটাই জঙ্গলমহলের পরিবর্তন : কুণাল

0
1

ঝাড়গ্রামে নয়াগ্রামে জেনারেল সেক্রেটারি ক্রিকেট কাপের ফাইনালে তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ স্পষ্ট বললেন, যে মাঠে বামজমানায় রক্তাক্ত মৃতদেহ পড়ে থাকত, সেই মাঠে ‘GS CUP’। এটাই জঙ্গলমহলের পরিবর্তন। কুণাল যখন এই কথা বলছেন,মঞ্চে হাজির রাজ্যের মন্ত্রী স্নেহাশিস চক্রবর্তী, মন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদা, সুদীপ রাহা প্রমুখ। কুণাল বলেন, তৃণমূলের লক্ষ্য বাংলাকে সুন্দর রাখা। তৃণমূলের জমানায় সবকিছু বদলে গেছে। এখন জঙ্গলমহল শান্ত। জঙ্গলমহলে পর্যটকরা আসছেন এখানকার সৌন্দর্যকে উপভোগ করতে। আর তাঁরা আসা মানেই এখানকার অর্থনীতির উন্নতি হওয়া।

শুক্রবার ফের কুণাল স্মরণ করিয়ে দেন, একুশের বিধানসভা নির্বাচনের আগে ডেইলি প্যাসেঞ্জারি করেছে বিজেপির বড় বড় মাথা। কিন্তু আমরা এখানে এসে দেখেছিলাম যে নয়াগ্রাম থেকে ঝাড়গ্রাম একবাক্যে বলছে, বিজেপি এখান থেকে দূর হটো। বাংলা একটাই নেত্রীকে চায় তিনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আপনারা চারটে সিটে চার শূন্য করে দিয়েছেন। সামনেই পঞ্চায়েত নির্বাচন আসছে।

কুণালের স্বগোক্তি, যদি কোথাও ভুল ত্রুটি থাকে আমরা সংশোধন করে নেব। কিন্তু মানুষ উপকার পেয়েছেন। ভুল হলে সংশোধন হবে অন্যায় হলে শাস্তি হবে কিন্তু তার জন্য সবাইকে দোষী করা যায় না। সিপিএমের জমানায় আপনারা দেখেছেন, বিজেপির অন্য রাজ্যে দেখছেন যে এখানে আর কোনও চয়েস নেই। নিজেদের ভালোর জন্য, বাংলার ভালোর জন্য একটাই চয়েস তৃণমূল কংগ্রেস।

কুণাল কটাক্ষ করে বলেন, আমারও হিন্দু ঘরে জন্ম। কিন্তু উত্তর প্রদেশে যান ওখানে আবারউঁচু হিন্দু – নিচু হিন্দু। সেখানে উঁচু হিন্দুদের পুকুরে নিচুরা হাত দিতে পারে না। আমরা সে রকম পুকুর চাই না।আমরা এমন একটা সমাজ চাই যেখানে সবাই এক পুকুরের জল ব্যবহার করতে পারবো।

জঙ্গলমহলের আদিবাসীদের প্রতি কর্তব্য পালন করে চলেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।এই প্রসঙ্গে কুণাল কলকাতা রামমোহন সম্মিলনীর পুজোর কথা বলেন। যেখানে এবারের থিম ছিল জঙ্গলকন্যা। আর তার ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসডার ছিলেন মন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদা। থিমের উদ্বোধন হয়েছিল ঝাড়গ্রামে, বাকিটা সবার জানা।

টিম অভিষেকের এই আয়োজনের ভূয়সী প্রশংসা করে কুণাল বলেন, সিপিএম রক্তের হোলি খেলেছিল এই মাঠে আর আমরা সেখানে ক্রিকেট খেলছি। আগামী পঞ্চায়েত নির্বাচনে ঝাড়গ্রামে কোনও অশুভ শক্তিকে পা রাখতে দেওয়া যাবে না। রাজ্য সরকারের ৫০-৬০ টা প্রকল্প। কন্যাশ্রী থেকে রূপশ্রী, স্বাস্থ্যসাথী থেকে লক্ষ্মীর ভান্ডার জীবনের প্রতিটা ক্ষেত্রে মানুষ উপকার পাচ্ছেন।কুণাল কটাক্ষ করে বলেন, বিজেপি যেখানে ঢুকতে পারছে না সেখানে দুই ভাড়াটে সিপিএম ও কংগ্রেসকে পাঠিয়ে দিচ্ছে।নিজেদের অধিকার বজায় রাখতে প্রত্যেকটা আসনে তৃণমূলকে জয়ী করতে হবে।