বিশ্বভারতীর উপাচার্যকে যারা নিয়োগ করেছেন তাঁরাও জেল খেটেছেন, বিকল্প পৌষমেলা থেকে তোপ ফিরহাদের

0
1

‘পৌষমেলা’র (Poush Mela) উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের মঞ্চ থেকে বিশ্ববিভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের (Visva Bharati University) উপাচার্যকে তোপ দাগলেন রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম (Firhad Hakim) ৷ একই সঙ্গে নাম না করে সমালোচনা করলেন কেন্দ্রের মোদি সরকারের (Modi Government) ৷ বললেন, “উপাচার্যকে যারা নিয়োগ করেছেন, তাঁরাও গুজরাত দাঙ্গার কারণে জেলে ছিল ।”অন্যদিকে বোলপুর (Bolpur) ডাকবাংলো মাঠে শুরু হওয়া এই বিকল্প পৌষমেলায় আমন্ত্রিত অতিথিরাও সমালোচনা করেছেন বিশ্বভারতীর উপাচার্যের ৷ কারণ, আমন্ত্রিতদের প্রসঙ্গে বিস্ফোরক প্রেস বিজ্ঞপ্তি দিয়ে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ জানিয়েছিল, ‘দুর্নীতিগ্রস্তদের সঙ্গে এক মঞ্চে বসবেন না উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী ।’ যা ঘিরে বিতর্ক তৈরি হয়েছিল ৷ আরও পড়ুনঃ ফের পিছলো অনুব্রতর জামিন মামলার শুনানি

এবার পূর্বপল্লীর মাঠে হচ্ছে না মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রতিষ্ঠিত ঐতিহ্যবাহী পৌষমেলা । তবে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে বোলপুর ডাকবাংলো মাঠে হচ্ছে বিকল্প পৌষমেলা ৷ ৬ দিন চলবে এই মেলা ৷ শুক্রবার মেলার সূচনা করেন রাজ্যের পৌর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম । ছিলেন ক্ষুদ্র-মাঝারি ও কুটির শিল্প মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিংহ, ঠাকুর পরিবারের সদস্য সুপ্রিয় ঠাকুর, বিশ্বভারতীর প্রাক্তন উপাচার্য সুশান্ত দত্তগুপ্ত ও সবুজকলি সেন, পরিবেশ কর্মী সুভাষ দত্ত, বীরভূমের জেলাশাসক বিধান রায়, জেলার পুলিশ সুপার নগেন্দ্রনাথ ত্রিপাঠী-সহ অন্যান্য বিধায়কেরা ৷

পৌষমেলা না করার জন্য বিশ্বভারতীর উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর প্রতি ক্ষোভ উগড়ে দেন সকলেই ৷ ঠাকুর পরিবারের সদস্য সুপ্রিয় ঠাকুর বলেন, “পৌষমেলা শুধু নয়, একে একে সব বন্ধ হয়ে যাবে । যেভাবে চলছে, সেভাবে চলতে পারে না ৷” প্রাক্তন উপাচার্য সবুজকলি সেন বলেন, “আমার আশঙ্কা বিশ্বভারতীতে আর পৌষমেলা, বসন্তোৎসব হবে কি না ৷ উপাচার্যের কোনও বক্তব্যে প্রসঙ্গে কিছু বলতে আমার রুচিতে বাঁধে ।”

মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম বলেন, “উপাচার্যকে যারা নিয়োগ করেছেন, তাঁরা গুজরাত দাঙ্গার কারণে জেলে ছিলেন । পরে ক্লিনচিট পেয়েছেন ৷ কেন রবীন্দ্র আদর্শ সরিয়ে আরএসএস-এর আদর্শ নিয়ে নিয়ে আসছে ? ওঁর উপাচার্য থাকা উচিত নয় ৷”