বড়দিনে বড় উপহার পেলেন বাংলার সিনে প্রেমীরা (Bengali Movie Lovers) । চলচ্চিত্র উৎসব শেষ হওয়ার পরের দিনই ‘হামি টু’ (Haami 2) উপহার পেলেন বাঙালি দর্শক। পর্দায় ফের লাল্টু-মিতালি জুটির ম্যাজিক। সিকুয়েল হলেও প্রথম ছবির সঙ্গে যে এর কোনও মিল নেই তার আভাস মিলেছিল ট্রেলারেই। তবে এমন কিছু জরুরি মেসেজ দিলেন নন্দিতা-শিবপ্রসাদ (Nandita Ray & Shiboprasad Mukherjee) জুটি যা এক নতুন ট্রেড মার্ক তৈরি করল বলে মনে করা হচ্ছে। শুক্রবার ছবি মুক্তির দিনে চাঁদের হাট নবীনা সিনেমা (Navina Cinema)হলে। তারকাখচিত এক অনবদ্য সন্ধের সাক্ষী রইল দক্ষিণ কলকাতা।

ছোটদের মিষ্টি বন্ধুত্বের গল্প আর আধুনিক অভিভাবকত্বের প্রসঙ্গ নিয়ে তৈরি ‘হামি টু’ এর মূল আকর্ষণ ছিল ভেঁপু (ঋতদীপ) আর চিনু (শ্রেয়ান)। দুই ছেলেকে নিয়েই লাল্টু মিতালির সংসার। বিস্ময় বালক ভেঁপু ৪৩-এর নামতা গড়গড়িয়ে বলে,বড় বড় হিসেব নিকেশ অনায়াসে করে, মহাকাব্যের গল্প-চরিত্র, দেশনায়কদের জীবনী তার মুখস্থ জল। রিয়্যালিটি শোতে গিয়েই প্রতিভাধর ছোট্ট রুকসানার সঙ্গে বন্ধুত্ব হয় ভেঁপুর। তাঁদের অভিভাবকরা কিন্তু তখন বন্ধুত্বে প্রতিযোগিতার রঙ মেশাতে ব্যস্ত। কারণ টিআরপি – তে টাকা আসে। চিত্রনাট্যে সম্প্রীতির বার্তাও বুনে দিয়েছেন পরিচালক জুটি। ‘ফেমাস’ভেঁপু-র ভাইরাল হওয়ার দৌড় কোথাও যেন শিশুটিকে হাঁপিয়ে তোলে। ভাই তার দাদাকে টিভিতে দেখে খেলার মাঠে পাশে পায় না। কোনও কিছু শেখা বা সৃজনশীল হওয়ার থেকেও কি কম্পিটিশনে জেতা বড় হতে পারে? এই প্রশ্ন তোলে শিবপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় ও নন্দিতা দাস পরিচালিত এই ছবি। প্রিমিয়ারে তারকার মেলা , পুরো টলিউড একরাশ প্রত্যাশা নিয়ে হাজির নবীনা সিনেমা হলে। স্কুল ড্রেসে হলে পৌঁছলেন লাল্টু মিতালি । ছোটদের সঙ্গে মিশে গেলেন তাঁরা। নাইজেল আকারা, মনামি ঘোষ, সোহম মজুমদার, তনুশ্রী চক্রবর্তী , আবির চট্টোপাধ্যায় থেকে শুরু করে শিবু নন্দিতার দর্শক সবাই হাজির। চমক জাগিয়ে কচিকাঁচাদের সঙ্গে মঞ্চে মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস (Arup Biswas)। হামি ২ দেখতে হাজির সস্ত্রীক দেবাশিস কুমার। সিনেমা এতটাই বাস্তবকে ছুঁয়ে যায় যে বিস্ময় বালকের গল্প দেখতে দেখতে বিস্মিত হতেই হবে আপনাকে, ঠিক এই কথাই বলছেন ‘হামি টু’ দেখে ফেরা দর্শকরা ।







































































































































