নারী শিক্ষা (Women Education) ও স্বাধীনতার (Independence) উপর ফের কোপ বসাল তালিবান প্রশাসন। আফগানিস্তানে (Afghanistan) মেয়েদের উপর নেমে এল চরম শাস্তি। এবার থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ে মেয়েদের লেখাপড়া বন্ধের কথা ঘোষণা করল তালিবান (Taliban)। অনির্দিষ্টকালের জন্য এই সিদ্ধান্তের কথা ইতিমধ্যে ঘোষণা করেছে আফগানিস্তানের উচ্চ শিক্ষামন্ত্রক। আর বিষয়টি প্রকাশ্যে আসতেই শুরু হয়েছে বিতর্ক। চরম নিন্দায় সোচ্চার হয়েছে একাধিক দেশ। তবে মেয়েদের শিক্ষাক্ষেত্রে এমন ফতোয়া জারি করায় বেজায় চটেছে আমেরিকা (America)। তালিবানকে রীতিমতো হুঁশিয়ারিও দেওয়া হয়েছে।
গত বছরের অগাস্ট মাসে কাবুল দখল করে তালিবান। দ্বিতীয়বার ক্ষমতায় এসে তালিবান সাফ জানিয়েছিল, তারা নাকি একেবারে বদলে গিয়েছে, এটা তালিবান ২.০। বর্তমান সময়ের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখেই আইন–কানুন তৈরি করা হবে। কিন্তু বাস্তবে তারা কথা রাখল না। আগেই মহিলাদের সমস্ত স্বাধীনতা কেড়ে নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু এবার নয়া সংযোজন মহিলাদের উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে বিধিনিষেধ আরোপ। মঙ্গলবার তালিবানের উচ্চশিক্ষা মন্ত্রী নেদা মহম্মদ নাদিম আফগানিস্তানের সমস্ত সরকারি ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে চিঠি পাঠিয়ে জানিয়ে দিয়েছেন, মহিলাদের উচ্চশিক্ষার উপরে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হল। তালিবানের মুখপাত্র জিয়াউল্লা হাসিমিও চিঠির ছবি টুইট করে খবরটি নিশ্চিত করেছেন।
আর আচমকা এমন ঘোষণার পরই হতাশায় আফগান মেয়েরা। তালিবানদের এমন ফতোয়ার কড়া সমালোচনা করেছেন রাষ্ট্রসংঘের সাধারণ সচিব অ্যান্তনিও গুতেরেস। তিনি জানান, ফের প্রতিশ্রুতি ভাঙল তালিবান। এটা ভাবা যায় না। কীভাবে উন্নতি করবে একটা দেশ? যেখানে মহিলাদের সক্রিয় অংশগ্রহণ নেই এবং মহিলারা শিক্ষাক্ষেত্র থেকে বঞ্চিত। অন্যদিকে, বিশেষজ্ঞদের মতে, ক্ষমতায় ফেরার পর প্রগতিশীল ভাবনার কথা বললেও তালিবানরা আসলে মধ্যযুগীয় আফগান শাসনকেই ফের কায়েম করতে চাইছেন নিজেদের দেশে। বাকি বিশ্বের নিন্দার কোনওরকম পরোয়া করছে না তারা।