দরগায় বসে ভিক্ষা করছিল, এক লহমায় বদলে গেল জীবন! প্রথমে বাবা, তারপর মাকে হারিয়ে চরম বিপাকে পড়েছিল ১০ বছরের ছেলেটা। আশ্রয় নিয়েছিল রুরকির পিরান কালিয়ার শরিফ দরগায়। দরগা চত্বরেই ভিক্ষাবৃত্তি করে দিন কাটাচ্ছিল। আসলে কিশোর ছেলেটা জানতও না, কোটি কোটি টাকার সম্পত্তির মালিক সে।
প্রায় বছর দেড়েক বাড়ি থেকে নিখোঁজ ছিল সে। গত বুধবার, ১৪ ডিসেম্বর ছেলেটির খোঁজ পেয়েছে তার আত্মীয় স্বজন। ঘরে ফিরেছে সে।চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের সাহারানপুর জেলায়।
নিখোঁজ হওয়ার আগে, সাহারানপুরের পান্ডৌলি গ্রামে থাকত শাহজেব আলম। গুরুতর অসুস্থ ছিল তার বাবা মহম্মদ নাভেদ। দীর্ঘ রোগভোগের পর, ২০১৯ সালে তাঁর মৃত্যু হয়েছিল। এরপর, শাহজেবকে নিয়ে তাঁর মা ইমরানা বেগম বাপের বাড়ি চলে গিয়েছিলেন। কিছু সময় পর, বাপের বাড়ি ছেড়ে উত্তরাখণ্ডের রুরকির কাছে অবস্থিত সুফি বিখ্যাত দরগা, পিরান কালিয়ার শরিফ দরগায় চলে গিয়েছিলেন ইমরানা। শ্বশুরবাড়ির সঙ্গে আর কোনও যোগাযোগ ছিল না।
এখানেই শাহজেবের দুর্ভোগ শেষ হয়নি। এরপর তাঁর জীবনে নেমে এসেছিল কোভিড-১৯ মহামারির অভিশাপ। ২০২১ সালে মহামারি কেড়ে নিয়েছিল তার মায়ের জীবন। অনাথ শাহজেব শুরু করেছিল ভিক্ষাবৃত্তি। ভিক্ষা করেই খিদে মেটাত, রাতে শুয়ে থাকত দরগায়।
এদিকে, ২০২১ সালেই মৃত্যু হয়েছিল তাঁর ঠাকুর্দা মহম্মদ ইয়াকুবের। তিনি তাঁর বিপুল সম্পত্তির একটা বড় অংশ লিখে দিয়ে গিয়েছিলেন নাতি, শাহজেবের নামে। কিন্তু শাহজেব কোথায়, তা কেউ জানত না। অনেক খোঁজাখুঁজির পর, গত বুধবার পিরান কালিয়ার শরিফ দরগায় তার খোঁজ পান শাহজেবের কাকা নওয়াজ আলম। তিনিই শাহজেবকে ফিরিয়ে নিয়ে এসেছেন।
উত্তরাধিকার সূত্রে শাহজেব এখন একটি দোতলা বাড়ি, ৫ বিঘা জমির মালিক। সব মিলিয়ে যে সম্পত্তির মূল্য ২ কোটি টাকারও বেশি।










































































































































