শিয়ালদহ (Sealdah) থেকে ওয়াই চ্যানেল (Y Channel) পর্যন্ত মহামিছিলের ডাক চাকরিপ্রার্থী আন্দোলনকারীদের ৯টি মঞ্চের। যোগ্য প্রার্থী হয়েও স্কুলে চাকরি না পাওয়ার অভিযোগে বিগত কয়েকমাস ধরে একাধিক জায়গায় আন্দোলনে সামিল হয়েছিলেন চাকরিপ্রার্থীরা। এবার আর আলাদা নয়, কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) সম্মতিতে একজোট হয়ে সপ্তাহের প্রথম ব্যস্ততম দিনেই পথে নামলেন তাঁরা। তবে রাজ্য সরকার (West Bengal Government) সাফ জানিয়েছে, সমস্ত জট কেটে যাবে। যারা যোগ্য প্রার্থী, তাঁরা অবশ্যই নিয়োগ পাবেন। এই মুহূর্তে এটা হাইকোর্টের বিচারাধীন বিষয়। সেক্ষেত্রে রাজ্য সরকারের কিছুই করার নেই। তবে সরকার এই বিষয়টি যথেষ্ট গুরুত্ব দিয়ে দেখছে এবং চলতি মাসেই সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হয়েছে টেট পরীক্ষাও। অতএব বিষয়টি যত শীঘ্র সম্ভব সমাধান হয়ে যাবে বলেই মত রাজ্যের। তবে এদিনের মিছিলের জেরে তীব্র যানজট তৈরি হয় শহরে। বিপাকে পড়লেন স্কুল, কলেজ ফেরত পড়ুয়া, অভিভাবক থেকে নিত্য অফিসযাত্রী। সোমবার বিকেলেও ধীর গতিতে যান চলাচল করছে এসএন ব্যানার্জি রোড (S N Banerjee Road) এবং লেনিন সরণিতে (Lenin Sarani)।

ইতিমধ্যে আন্দোলন ৬৪৫ দিন পেরিয়েছে। যোগ্য প্রার্থী হয়েও চাকরি না মেলার অভিযোগে, মাসের পর মাস ধরে আন্দোলন চালিয়ে আসছেন তাঁরা। এদিনের মহামিছিলে সামিল হয়েছেন SLST-এর চাকরিপ্রার্থীরা। পাশাপাশি মিছিলে যোগ দিয়েছেন, ২০১৪-এর টেট উত্তীর্ণ, SSC-এর গ্রুপ সি, গ্রুপ ডি-এর চাকরিপ্রার্থী সহ মোট ৯টি মঞ্চ। তবে এদিন রাজ্যের পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী তথা মেয়র ফিরহাদ হাকিম (Firhad Hakim) সাফ জানিয়েছেন, জোট করে কোনও লাভ নেই। যোগ্যরা ঠিক চাকরি পাবেন।
অন্যদিকে, তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক তথা দলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh) সাফ জানান, যাদের যন্ত্রণা আছে, যারা সত্যি বঞ্চিত হয়েছেন তাঁদের যেকোনো আন্দোলন বা প্রতিবাদের অধিকার রয়েছে। তাঁদের নিয়ে সমালোচনা, প্রতিবাদ বা কটাক্ষের কোনও প্রশ্নই ওঠে না। রাজ্য সরকার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে যেখানে যা জট ছিল তা খোলার আপ্রাণ চেষ্টা করছে এবং ইতিমধ্যে তা বহু ক্ষেত্রে খুলেও গিয়েছে। কুণাল প্রশ্ন তোলেন, কিন্তু যারা এঁদের ধর্না মঞ্চে গিয়ে ভাইফোঁটা নিচ্ছিলেন তাঁরাই মরিয়া হয়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়ে নিয়োগ যাতে সম্পূর্ণ না হয় সেবিষয়ে আপ্রাণ চেষ্টা করছেন। যারা যোগ্য তাঁদের অধিকার মিছিল, আন্দোলন করার সম্পূর্ণ অধিকার আছে। কিন্তু তার জন্য জোটের কোনও প্রয়োজন নেই। মুখ্যমন্ত্রী বা শিক্ষা দফতর যেভাবে চেষ্টা করছেন যোগ্যদের সামনে খুব শীঘ্রই নিয়োগের দরজা খুলে যাবে। এরপরই কুণাল অভিযোগ করেন, কিছু বঞ্চিতদের কাজে লাগিয়ে বিভিন্ন রাজনৈতিক শক্তি অত্যন্ত সুপরিকল্পিতভাবে নিজেদের ব্যানারে এসব করছেন।












































































































































