আসানসোলে গিয়ে নাকখত দাও, শুভেন্দুকে তোপ কুণালের

0
1

আজ রবিবার, ১৮ ডিসেম্বর কাঁথিতে ‘গদ্দারমুক্ত দিবস’ পালন করল তৃণমূল। এদিন উত্তর কাঁথির পেটুয়াঘাট মৎস্য বন্দরে ব্লক তৃণমূলের তরফে একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।তৃণমূলের মুখপাত্র তথা রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh) শুভেন্দু অধিকারীকে নিশানা করে বলেন, আগে আসানসোলে গিয়ে নাকখত দাও। তারপর অন্য কথা। আসানসোলে শুভেন্দুর কম্বল বিতরণ অনুষ্ঠানে পদপিষ্ট হয়ে ৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। তাতে বিরোধী দলনেতাকেই দায়ী করছে তৃণমূল। এর আগে ৩ ডিসেম্বর কাঁথিতে জনসভা করতে গিয়ে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee) ‘বেইমানমুক্ত, গদ্দারমুক্ত’ কাঁথি গড়ার ডাক দিয়েছিলেন। তাঁর নিশানায় যে শুভেন্দু অধিকারী, তা বুঝতে বাকি ছিল না কারও।

এদিন শুভেন্দুর উদ্দেশে কুণালের তোপ, আগে আসানসোলের মানুষের কাছে গিয়ে নাকখত দিয়ে আসো। তারপর তোমার অন্য কথা শোনা হবে। আসানসোলে তোমার জন্য, তোমাদের জন্য যারা মারা গিয়েছে, তাদের জন্য সময় নেই তোমার? অমিত শাহর জুতো চাটার সময় আছে, কলকাতায় মিটিং করার সময় আছে, আর আসানসোলের নিহত-আহত মানুষজনের কাছে যাওয়ার সময় নেই?

শুভেন্দুকে আক্রমণ করে কুণাল বলেন, ও এত বড় নেতা যে এখন শুধু দিল্লি গিয়ে বড় বড় নেতাদের ধরে ধরে পূর্ব মেদিনীপুরে নিয়ে আসছে। সবাইকে বলছে এখানে আসুন, আমার জেলায় আসুন, আমাকে বাঁচান। এতবড় নেতা! এদিনের সভায় উপস্থিত আইএনটিটিইউসি রাজ্য সভাপতি ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, আমাদের উদ্যোগে মৎস্যজীবীদের আই কার্ড দেওয়ার কাজ শুরু হয়েছে। সারা বাংলা তৃণমূল মৎস্যজীবী ইউনিয়নের সম্মেলন আগামীদিনে এই পূর্ব মেদিনীপুর জেলাতেই অনুষ্ঠিত হবে।

এরই পাশাপাশি কুণাল এদিন দলের নেতা, কর্মীদেরও বার্তা দিয়ে বলেন, আমাদের সেনাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় স্পষ্ট বলেছেন, কাজ না করলে দলে জায়গা নেই। সে দলীয় পদই হোক বা প্রশাসনিক পদ – কাজ করলেই পদ থাকবে, নাহলে যাবে। সুতরাং, সবাই কাজে মন দিন। কাজ দিয়েই মানুষের ভোট পেতে হবে। এদিনের সভায় কুণাল ঘোষ ছাড়াও ছিলেন ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়, রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়।