“পুনর্বাসন ছাড়া রেলের জমি থেকে উচ্ছেদ মানা হবে না”, শাহকে স্পষ্ট বার্তা মমতার

0
1

আজ, শনিবার সকাল ১১টা থেকে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের (Government of West Bengal) সদর দফতর নবান্নের সভাগৃহে পূর্বাঞ্চলীয় নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠক হয়। অমিত শাহের (Amit Shah)নেতৃত্বাধীন ঘন্টা দুয়েকের ওই বৈঠকে ছিলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। এছাড়াও ছিলেন বিহারের উপমুখ‌্যমন্ত্রী তথা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী তেজস্বী যাদব (Tejaswi Yadav), ঝাড়খণ্ডের মুখ‌্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন (Hemanta Soren)। ওড়িশা এবং বিহারের মুখ্যমন্ত্রী বৈঠকে যোগ দেননি। তবে ওই দুই রাজ্যের অন্যান্য প্রতিনিধিরা বৈঠকে অংশ নেন।

সূত্রের খবর, এদিনের গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে একাধিক ইস্যু নিয়ে আলোচনা হয়। তার মধ্যে অন্যতম ছিল। রেলের জমি সমস্যা। বছরের পর বছর রেলের বহু জমি জবরদখল হয়ে রয়েছে বলেই দাবি করেন সংশ্লিষ্ট বোর্ডের সদস্য ব্রিজেশ কুমার। বৈঠকে তিনি জানান, বাংলা, বিহার, ঝাড়খণ্ড ও ওড়িশায় রেলের বহু প্রকল্প চলছে। বেশ কয়েকটি জায়গায় জমি নিয়ে সমস্যা আছে। জমি জট সমাধানের অনুরোধও জানান তিনি। রেলের জমি থেকে জবরদখলকারীদের উচ্ছেদ করার কথা বলেন অমিত শাহ। তখনই অমিত শাহকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সাফ জানিয়ে দেন, অন্তত বাংলার বুকে পুনর্বাসন ছাড়া রেল জমি থেকে কাউকে উচ্ছেদ করা সম্ভব নয়।

এদিনের নিরাপত্তা বৈঠকে আরও একটি বিষয় প্রাধান্য পায়। আন্তঃরাজ্য ও আন্তর্দেশিক সীমান্ত সুরক্ষার নিয়ে জোরদার আলোচনা হয়। সম্প্রতি, গরু পাচার মামলা নিয়ে উত্তাল বাংলা। এই উত্তাপেই এ রাজ্যের শাসকদলের নেতা-মন্ত্রীরা বারবার দাবি করেছেন, সীমান্তে পাচার হলে তার দায় বিএসএফের। এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও সেই বিষয়টি উত্থাপন করেন। তবে বিএসএফের বিরুদ্ধে ওঠা কর্তব্যে গাফিলতির অভিযোগ খারিজ করে দেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। অমিত শাহ এদিন সাফ বলেন, “সীমান্ত দিয়ে পাচার হলে তার দায় একা বিএসএফের নয়। সীমান্তে অপরাধ রুখতে রাজ্যেরও দায়িত্ব আছে। যে কোনও শর্তে সীমান্তে অনুপ্রবেশ আটকাতেই হবে।”