এবারও কাঠগড়ায় প্রভাবশালী তকমা, অনুব্রতর ফের জেল হেফাজত

0
1

ফের জামিনের আবেদন নাকচ।এবারও কাঠগড়ায় সেই প্রভাবশালী তকমা। গরুপাচার কাণ্ডে যাঁদের জামিন হয়েছে, অনুব্রত তাঁদের চেয়ে অনেক বেশি প্রভাবশালী, এই যুক্তিতে অনুব্রতর জামিনের আর্জিতে শুক্রবারও নাকচ করে দিলেন বিচারপতি জয়মাল্য বাগচির ডিভিশন বেঞ্চ। এদিন শুনানির শেষে উভয়পক্ষকে হলফনামা জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে আদালত। আগামী ২৩ ডিসেম্বর মামলার পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য হয়েছে।

গরু পাচার মামলায় বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলকে গ্রেফতার করেছে সিবিআই। পরে আসানসোলে জেলে গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ চলাকালীন ইডি-ও গ্রেফতার করে তাঁকে। শুক্রবার কলকাতা হাইকোর্টে বিচারপতি জয়মাল্য বাগচি ও বিচারপতি অজয় কুমার গুপ্তার ডিভিশন বেঞ্চে ছিল অনুব্রতর জামিন মামলার শুনানি।

এদিনের শুনানিতে ভার্চুয়ালি উপস্থিত ছিলেন অনুব্রতর আইনজীবী কপিল সিব্বল। আদালতে তিনি বলেন, সুপ্রিম কোর্টে এনামুল হক জামিন পেয়েছেন। সতীশ কুমার জামিন পেয়েছেন। তিনিও এই মামলার অন্যতম অভিযুক্ত। গত ৬ অক্টোবর চার্জিশিটও পেশ করা হয়েছে আদালতে। গত চারমাস ধরে জেলে বন্দি অনুব্রত। তা ছাড়া, ইডির করা এফআইএর-ও অন্য আদালতে বিচারাধীন। শুধুমাত্র, প্রভাবশালী তকমার কারণে জেলে আটকে রাখা হচ্ছে অনুব্রতকে।

যদিও এরপরও বিচারপতি বাগচি মন্তব্য করেন, যাঁরা জামিন পেয়েছেন, তাঁদের থেকে মামলাকারী (অনুব্রত) অনেক বেশি প্রভাবশালী। এই মামলায় শুধু সাক্ষীরাই নন, একজন বিচারকও হুমকি পাওয়ার কথা জানিয়েছেন। সিবিআই জানিয়েছে, মনোজ সানা এই মামলার অন্যতম সাক্ষী, অথচ তিনি নিরুদ্দেশ। তদন্তের এই সময়ে সাক্ষীদের বক্তব্য খুব গুরুত্বপূর্ণ। এইসময় বিচারক নিজেই হুমকি পেলে সেটা আদালত কী ভাবে তুচ্ছ করে দেখবে? এরপরে অনুব্রতের আইনজীবী পাল্টা দাবি করেন, এগুলো কেস ডায়রিতে উল্লেখ করা হলেও তা এখনও প্রমাণিত হয়নি। এছাড়াও, সিব্বলের বক্তব্য, গরু পাচার মামলায় অনুব্রত মূলচক্রী নন। মূলচক্রী এনামুল হক। এখনও পর্যন্ত কোনও কিছুই পাওয়া যায়নি অনুব্রতের বিরুদ্ধে।

যদিও কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি বাগচির ডিভিশন বেঞ্চ ফের অনুব্রতকে জেল হেফাজতেই পাঠান।