স্বাধীনতার ৭৫ বছর পরও জম্মু-কাশ্মীর নিয়ে জট কাটেনি। কাশ্মীর ইস্যুর ‘আন্তর্জাতিকীকরণের’ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে পাকিস্তান। এ বার সরাসরি নিরাপত্তা পরিষদে ইসলামাবাদের তরফে কাশ্মীর ইস্যু তোলা হয় । রাষ্ট্রপুঞ্জের সাধারণ সভায় তার যোগ্য জবাব দেন বিদেশমন্ত্রী জয়শঙ্কর। ২০০১ সালের সংসদ হামলার ঘটনা এবং আল কায়দা প্রধান ওসামা বিন লাদেনকে আশ্রয় দেওয়ার প্রসঙ্গ তুলে ইসলামাবাদকে বিঁধে তিনি বলেন, “যে দেশ আল কায়দা নেতা ওসামা বিন লাদেনকে আশ্রয় দেয় এবং প্রতিবেশী দেশের সংসদে আক্রমণ করে, তাদের রাষ্ট্রসঙ্ঘের ক্ষমতা নিয়ে বলার মতো বিশ্বাসযোগ্যতা নেই।”

আরও পড়ুন:চিনা বিদেশমন্ত্রীর মুখোমুখি জয়শঙ্কর, সন্ত্রাসবাদ দমনে কড়া বার্তা ভারতের

বুধবার রাষ্ট্রসঙ্ঘের নিরাপত্তা কাউন্সিলের বৈঠক ছিল। বৈঠকের আলোচ্য বিষয় ছিল “আন্তর্জাতিক শান্তি ও সুরক্ষা রক্ষা”। সেই বৈঠকেই ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর বলেন,‘‘রাষ্ট্রপুঞ্জের বিশ্বাসযোগ্যতা নির্ভর করে সমসাময়িক প্রধান চ্যালেঞ্জগুলির কার্যকর ভাবে মোকাবিলার উপর। তা অতিমারি, জলবায়ু পরিবর্তন বা সন্ত্রাস হতে পারে।’’ কাশ্মীর প্রসঙ্গে পাকিস্তানের তরফে সাজানো ‘তথ্য’ এবং গুরুত্বহীন অভিযোগ নতুন কিছু নয় বলেও জানান বিদেশমন্ত্রী।

প্রসঙ্গত, রাষ্ট্রপুঞ্জের সাধারণ সভায় পাকিস্তানের বিদেশমন্ত্রী বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারি বলেন, “পাকিস্তান দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করে যে নিরাপত্তা পরিষদের সক্রিয় অংশগ্রহণের মাধ্যমে আমাদের আঞ্চলিক নিরাপত্তা সংক্রান্ত সমস্যাগুলির কার্যকর এবং শান্তিপূর্ণভাবে সমাধান করা যেতে পারে। রাষ্ট্রসঙ্ঘের সার্বজনীন ও ধারাবাহিক আনুগত্যের উপর ভিত্তি করে বহুপাক্ষিকতা হওয়া উচিত।”এর উওত্তরেই পাল্টা ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর বলেন, “আমরা স্পষ্টতই বহুপাক্ষিকতার সংস্কারের দিকে মনোনিবেশ করছি। আমাদের নিজস্ব মতামত থাকবে, তবে একটি ক্রমবর্ধমান অভিন্নতা বা এক-কেন্দ্রীকতার দিকে অগ্রসর হতে হবে, যা আর বিলম্বিত করা যাবে না। আমরা যেখানে সেরা সমাধানের খোঁজ করছি, সেখানে কোনও ধরনের সন্ত্রাসবাদের হুমকিকে আমরা সাধারণভাবে গ্রহণ করতে পারি না।যেখানে ওসামা বিন লাদেনকে আশ্রয় দেওয়া হয় বা প্রতিবেশী দেশের সংসদে হামলা চালানো হয়, তারা কোনওভাবেই এই কাউন্সিলে বলার অধিকার রাখে না।”






































































































































