বছর ঘুরলেই রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন। এই মুহূর্তে মেঘালয়ে মুকুল সাংমার নেতৃত্বে প্রধান বিরোধী দল তৃণমূল। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেকের তিনদিনের সফর ও ঠাসা কর্মসূচির পর তেইশের ভোটে উত্তর-পূর্বের মেঘ রাজ্যে ক্ষমতায় আসার ব্যাপারে আশাবাদী ঘাসফুল শিবির।
বিজেপিকে তাড়া করছে “মমতা-ভীতি”! তাই মমতাকে টক্কর দিতে ময়দানে নামতে হচ্ছে খোদ নরেন্দ্র মোদিকে।
মমতার মেঘালয় সফরের সাত দিনের মধ্যেই শিলংয়ে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। কারণ, উত্তর-পূর্বের এই রাজ্যে গেরুয়া শিবির কার্যত কোণঠাসা। একদিকে মোদিকে এনে গেরুয়া ঝড় তোলার চেষ্টা, অন্যদিকে বিধায়ক কেনাবেচার কাজটিও সমান তালে করে চলেছে বিজেপি।
মেঘালয় বিধানসভা ভোটের লড়াইয়ে মমতার দলের “ট্রাম্প কার্ড” হতে চলেছে বাংলার একগুচ্ছ উন্নয়ন প্রকল্প। বুধবার কলকাতার বিমান ধরার আগে মুকুল সাংমা, চার্লস পিংগ্রোপ, জেমস লিংডোদের মতো তৃণমূল নেতাদের লড়াইয়ের বীজমন্ত্র দিয়ে গিয়েছেন তৃণমূল সুপ্রিমো। বলেছেন, ফাইট দ্যা ব্যাটল। রাজনৈতিক মহলের একাংশ মনে করছে, এই পরিস্থিতি টের পেয়েই তড়িঘড়ি মোদিকে এনে পালে হাওয়া ফেরানোর চেষ্টা করছে গেরুয়া শিবির।
সম্প্রতি, হিমাচল প্রদেশ হাতছাড়া হওয়ার পর এখন মেঘালয় নিয়ে গা ছাড়া মনোভাব দেখানোর জায়গায় নেই গেরুয়া ব্রিগেড। তাই ১৮ ডিসেম্বর স্বয়ং মোদিকেই মেঘালয়ে ছুটে আসতে হচ্ছে। ওই দিন বিজেপির রাজ্য সদর কার্যালয়ের উদ্বোধন করবেন মোদি। সেই সঙ্গে একটি জনসভাও করবেন।
উল্লেখ্য, গতবার মেঘালয়ে মাত্র দু’টি বিধানসভা আসন জিতেছিল বিজেপি। ফলে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতায় মেঘালয় জয় যে সম্ভব নয়, তা ভালোভাবেই জানেন বিজেপির ভোট ম্যানেজাররা। তাই এখন থেকেই মোদিকে নামতে হচ্ছে মেঘালয়ের ভোট যুদ্ধে মমতাকে টক্কর দিতে।