পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে ফের গেরুয়া শিবিরের কোন্দল প্রকাশ্যে। নিজের খেয়াল-খুশি-ইচ্ছে মতো দল চালানোর চেষ্টা করছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। ডিসেম্বর ধামাকা নিয়ে আগেই সুর নরম করে ডিগবাজি খেয়েছেন শুভেন্দু। তারিখ পে তারিখ নিয়েও হাসির খোরাক হয়েছেন।দলেরও ভাবমূর্তি নষ্ট হচ্ছে। শুভেন্দু কাজকর্মে সিবিআই-বিজেপি আঁতাত সামনে চলে আসছে বলে মনে করছেন দিলীপ ঘোষ। এই ডিসেম্বর ধামাকা ও তারিখ নিয়ে দিলীপ-শুভেন্দু তর্জার মাঝেই এবার খোদ রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার ডিসেম্বর তত্ত্বকে পাত্তাই দিতে চান না।
আরও পড়ুন:ডিসেম্বরে “ফ্লপ-শো” শুভেন্দুর, ২ জানুয়ারি দুপুর ১২টায় পাল্টা ধামাকার ইঙ্গিত কুণালের
বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেছেন, “১২ তারিখ আমি কলেজে পড়ানো শুরু করেছিলাম। আর কোনও বিষয় জানা নেই।” এদিন তিনি কার্যত মেনে নিয়েছেন, এই ইস্যুতে দলের অন্দরে দ্বন্দ্ব রয়েছে। সুকান্তবাবুর কথায়, “এই ইস্যুতে দলে মতবিরোধ রয়েছে। বিষয়টিকে অযথা গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে।” তবে এই ইস্যুতে তিনি যে দলীয় নেতৃত্বের সঙ্গে কথা বলতে পারেন, তারও ইঙ্গিত দিয়েছেন সুকান্ত।
তবে পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে সম্ভবত সংগঠনে বিশেষ কোনও রদবদল হচ্ছে না। দলীয় সূত্রের খবর, পঞ্চায়েত ভোট মিটলেই বড়সড় সাংগঠনিক পরিবর্তনের পথে হাঁটতে পারে বঙ্গ বিজেপি। এক্ষেত্রে বিশেষভাবে নজর থাকবে দলের মণ্ডল এবং জেলা কমিটিগুলির উপরই। কারণ, আগামী লোকসভা ভোটের কথা মাথায় রেখে দলের নিচুতলা খোলনলচে পাল্টাতে চাইছেন রাজ্য বিজেপির শীর্ষ নেতারা। দলের অন্দরের খবর, পঞ্চায়েত নির্বাচনের ফল দেখে বিজেপির নিচুতলায় কোন স্তরে কী দুর্বলতা রয়েছে, তা নিশ্চিত করতে চাইছেন নেতারা। সেইমতো নেওয়া হবে পদক্ষেপ।