“ডিসেম্বর তত্ত্ব” এবং “তারিখ পে তারিখ” নিয়ে দলের ভিতরে-বাইরে কার্যত হাসির খোরাক হচ্ছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তাঁর অপরিণত, অদূরদর্শীতার জন্য বিজেপি শুভেন্দুকে নিয়ে চরম অস্বস্তিতে। ডিসেম্বর ধামাকা নিয়ে তাঁকে খোঁচা দিয়েছিলেন খোদ সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষ। আবার হাজরার সভা থেকে দিলীপ ঘোষকে ইঙ্গিত করে শুভেন্দু বলেছিলেন, “আমি মর্নিং ওয়াক করতে গিয়ে সংবাদমাধ্যমকে বিবৃতি দিয়ে বেড়াই না।” তার জবাবে দিলীপের পাল্টা কটাক্ষ “সকালে উঠতে একটু দম লাগে।”

আরও পড়ুন:“এই তারিখে আমি পড়ানো শুরু করেছিলাম”, এবার শুভেন্দুর ডিসেম্বর তত্ত্বকে খোঁচা সুকান্তর

শুভেন্দু অনেক দিন থেকেই ডিসেম্বর তত্ত্ব নিয়ে সরব। প্রথমে রাজ্য সরকার পড়ে যাওয়ার ইঙ্গিত দেন। পরে মন্তব্য করেন, সরকার থাকলেও ক্ষমতা থাকবে না। নবান্ন পঙ্গু হয়ে যাবে। সম্প্রতি তিনটি তারিখও জানান তিনি। ১২, ১৪, ২১ ডিসেম্বর বড় কিছু ঘটবে বলে দাবি করেছিলেন। তারই প্রেক্ষিতে সোমবার, ১২ ডিসেম্বর সকালে দিলীপ বলেন, “আদালতে কী ফয়সালা হবে জানি না। তাই আদালতের উপরে ভিত্তি করে কিছু বলা যায় না। রাজনীতিতে এই তারিখের কোনও গুরুত্ব নেই।”
এর কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই হাজরার সভা থেকে শুভেন্দুর কটাক্ষ ছিল দিলীপের উদ্দেশে। তিনি বলেন, ‘‘আমি বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী, গিমিকে বিশ্বাস করি না। আমি মর্নিং ওয়াক করতে গিয়ে সংবাদ মাধ্যমে বিবৃতি দিয়ে বেড়াই না। আমি দায়িত্ব নিয়ে কথা বলি।” তারই জবাবে সংবাদমাধ্যমকে দিলীপ বলেন, “আমাকে দেখে প্রেরণা পেয়ে অনেকে এখন মর্নিং ওয়াক করছেন। ভাল কথা, শরীর ভাল থাকে। আর সকালে ওঠার জন্য দম চাই একটু। কে কার সম্বন্ধে কেন বলেছেন আমার জানা নেই, আমার কিছু বলারও নেই।”

হাজরার সভায় শুভেন্দু, “আমি বিরোধী দলনেতা, দায়িত্ব নিয়ে বলছি” প্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষ বলেন, “কে ব্যক্তিগত ভাবে কী বলছেন, কী করছেন তাতে কিছু যায় আসে না। দেশের রাজনীতি, পশ্চিমবঙ্গের ভবিষ্যৎ আর রাজ্যের রাজনীতি নিয়ে আমাদের চিন্তা। নানা রকম মত থাকতে পারে। কারও মত নিয়ে আমার কিছু বলার নেই।”
হাজরার সভা তৃণমূলের বিরুদ্ধে আক্রমণের লক্ষ্যে হলেও শুভেন্দুর মন্তব্যে বিজেপির দলীয় দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে এসে যায় বলে গেরুয়া শিবিরের অনেকেই মনে করছেন। সেই পরিস্থিতিতে “দম লাগা”র কথা বলে দলীয় লড়াই আরও তীব্রতর করলেন। প্রসঙ্গত, সম্প্রতি কুণাল ঘোষ শুভেন্দুর ডিসেম্বরের ফ্লপ-শো’কে কটাক্ষ করে বলেছিলেন, “ওর বুকে নেই দম, খাবে চমচম”! এবার সেই একই সুরে দিলীপ ঘোষের কথায়।






































































































































