লালনের রহস্যমৃ*ত্যুর পর থমথমে বগটুই! কেন্দ্রীয় বাহিনীর নিরাপত্তা নিয়েও উঠছে প্রশ্ন

0
1

সিবিআই হেফাজতে বগটুই-কাণ্ডের মূল অভিযুক্ত লালন শেখের মৃত্যুর পর থেকে ফের উত্তপ্ত বগটুই। রাতারাতি কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার অস্থায়ী শিবিরে বাড়ানো হয়েছে নিরাপত্তা। যদিও কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে বগটুইবাসীর মনে।

আরও পড়ুন:হেফাজতে রহস্যমৃ*ত্যু বগটুইকাণ্ডে মূল অভিযুক্ত লালন শেখের! আত্ম*হত্যার দাবি CBI-এর

রামপুরহাটের যে অস্থায়ী সিবিআই শিবিরে লালনকে রাখা হয়েছিল, সেখানে নতুন করে যাতে কোনও অশান্তি না হয়, তা নিশ্চিত করতে সোমবার রাতেই এক কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী পাঠানো হয়েছে। কড়া নিরপত্তার চাদরে মুড়ে ফেলা হয়েছে গোটা এলাকা। রামপুরহাটে এসেছেন বেশ কয়েক জন সিবিআই আধিকারিকও। রামপুরহাট মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে বীরভূম জেলা পরিষদের তরফে নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে।সব মিলিয়ে এখন থমথমে বগটুই।

বগটুইকাণ্ডের পর থেকেই সিবিআইয়ের অস্থায়ী শিবির ছিল। সেইসঙ্গে ছিল পুলিশি পাহাড়াও সিবিআই হেফাজতে লালন শেখের মৃত্যুর ছড়িয়ে পড়তেই বগটুইতে নিহতদের বাড়ির সামনে নতুন করে যাতে কোনও বিশৃঙ্খলা তৈরি না হয়, তা নিশ্চিত করতে আলাদা করে নিরাপত্তা দেওয়া হয়েছে পরিবারকে। মঙ্গলবার লালনের দেহের ময়নাতদন্ত করা হবে। তার পর দেহ তুলে দেওয়া হবে পরিবারের হাতে।
ভাদু শেখের মৃত্যুর পর বগটুইয়ে পরপর কয়েকটি বাড়িতে অগ্নিসংযোগের ঘটনায় অভিযুক্ত লালন শেখকে গ্রেফতার করে সিবিআই। ঝাড়খণ্ডের পাকুড় এলাকার একটি বাড়ি থেকে ধরা পড়েন লালন। তার পর অস্থায়ী শিবিরে রেখে তাঁকে জেরা করা হচ্ছিল। সিবিআই জানিয়েছে, সোমবার বিকেল ৪টা বেজে ৫০ মিনিট নাগাদ অস্থায়ী শিবিরের শৌচাগার থেকে লালনের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করা হয়। এরপর থেকেই কেন্দ্রীয় বাহিনীর নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।