বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে মরক্কো। শনিবার কোয়ার্টার ফাইনালে পর্তুগালকে হারাল ১-০ গোলে। মরক্কোর হয়ে একমাত্র গোলটি করেন এন-নেসিরি। এই জয়ের ফলে নজির গড়ল মরক্কো। প্রথম সেমিফাইনালে পৌঁছাল তারা। চোখের জলে মাঠ ছাড়লেন সিআরসেভেন।
ম্যাচে এদিন প্রথম থেকে আক্রমণে ঝাঁপায় পর্তুগাল। দুই প্রান্ত ব্যবহার করে বক্সে ক্রস করার চেষ্টা করছে তারা। ম্যাচে এদিন প্রথম একাদশে সুযোগ পাননি ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো। তাঁকে বাঁদ দিয়েই দল গোঁছায় পর্তুগিজ কোচ। ম্যাচের ৪ মিনিটের মাথায় ব্রুনো ফের্নান্দেসের ফ্রিকিক থেকে দুরন্ত হেড করেন জোয়াও ফেলিক্স। তাঁর হেড বাঁচিয়ে দেন মরক্কোর গোলরক্ষক ইয়াসিন বোনো। খেলায় ধীরে ধীরে ফেরার চেষ্টা করে মরক্কো। প্রান্ত ধরে কয়েকটি আক্রমণ করেন হাকিমি, জিয়েচরা। কিন্তু খুব একটা সমস্যায় পড়েননি পর্তুগালের গোলরক্ষক কোস্তা। পাল্টা আক্রমণে ঝাঁপায় মরক্কো। যার ফলে ম্যাচের ৪২ মিনিটে এগিয়ে গেল তারা। মরক্কোর হয়ে ১-০ করেন এন-নেসিরি। নিজেদের মধ্যে বেশ কয়েকটি পাস খেলে বাঁ প্রান্ত ধরে আক্রমণে ওঠে মরক্কো। বক্সে বল ভাসিয়ে দেন এল-ইদ্রিসি। হেডে গোল করেন এন-নেসিরি। প্রথমার্ধে ম্যাচের ফলাফল থাকে ১-০।
দ্বিতীয়ার্ধে আক্রমণের ঝাঁঝ বাড়ায় মরক্কো। যার ফলে ব্যবধান আরও বাড়ানোর সুযোগ ছিল মরক্কোর। ৪৯ মিনিটের মাথায় হাকিম জিয়েচের ফ্রিকিক আর একটু হলে জালে জড়িয়ে যেত। কোনও রকমে সেই বল বার করেন কোস্তা। ম্যাচের ৫১ মিনিটে পরিবর্ত হিসাবে মাঠে নামেন রোনাল্ডো। রোনাল্ডো মাঠে নামতেই আক্রমণে ঝড় তোলে পর্তগিজরা। চাপ বাড়াতে থাকে পর্তুগাল। বেশ কয়েক বার মরক্কোর বক্সে পৌঁছে গিয়েছেন রোনাল্ডোরা। কিন্তু গোলের দরজা খুলতে পারলেন তারা। ম্যাচের অতিরিক্ত সময়ে দ্বিতীয় হলুদ কার্ড দেখে মাঠ ছাড়েন চেদিরা।