গত ৩ দিন ধরে নিখোঁজ (Missing) মা (Mother)। অনেক খোঁজাখুঁজির পরও খোঁজ মেলেনি। তবে শনিবার সকালেই ঘরের আলমারির দরজা খুলতেই ছেলের চোখের সামনে গড়িয়ে পড়ল মায়ের মৃতদেহ। দিল্লিতে শ্রদ্ধা ওয়াকারের (Sraddha Walkar) মৃত্যু দেশবাসীর মনে এখনও টাটকা। আর সেই স্মৃতি উসকে চাঞ্চল্যকর ঘটনা ঘটল বাংলায়। হুগলীর চুঁচুড়ার (Chinsurah) ঘটনা। পুলিশ সূত্রে খবর, স্ত্রীকে খুন করে আলমারির মধ্যে দেহ রেখে চম্পট দিয়েছেন তাঁর স্বামী।

স্থানীয় সূত্রে খবর, চুঁচুড়ার শ্যামবাবু ঘাটের কাছে একটি টিনের চালার বাড়িতে স্ত্রী ভারতী ধাড়াকে নিয়ে থাকতেন অভিযুক্ত স্বামী কাশীনাথ ধাড়া। তবে মদের নেশায় আসক্ত হয়ে পড়েন কাশীনাথ। কাজকর্ম কিছুই করার মতো অবস্থা ছিল না। মদ খাওয়ার জন্য স্ত্রী ভারতীর থেকে প্রতিদিন টাকা চাইতেন। স্ত্রী ভারতী পরিচারিকার কাজ করে যেটুকু অর্থ আয় করতেন, তার বেশীরভাগটাই স্বামীর মদ খাওয়ার পিছনে খরচ হয়ে যেত। আর তা দিতে অস্বীকার করায় স্ত্রীকে প্রাণে মেরে আলমারিতে ঢুকিয়ে রাখেন স্বামী কাশীনাথ। এদিকে গত ৩ দিন ধরে ভারতীর খোঁজ পাচ্ছিলেন না আশপাশের বাসিন্দারা। ভারতী এবং তাঁর স্বামী কাশীনাথ ধাড়া ওই বস্তিতে একটি বাড়িতে থাকতেন। তাঁদের ছেলেরা থাকেন আশপাশেই।
স্থানীয় সূত্রে খবর, শনিবার সকালে কাশীনাথ এবং ভারতীর এক ছেলে তাঁদের বাড়িতে গিয়েছিলেন। সেখানে জামাকাপড় বার করার জন্য একটি আলমারি খোলেন তিনি। আর আলমারি খুলতেই তিনি দেখতে পান ভিতর থেকে মায়ের হাত বেরিয়ে রয়েছে। এরপরই আলমারির দরজা পুরো খুলতেই মেঝেতে গড়িয়ে পড়ে ভারতীর দেহ। ভারতীর মৃতদেহ উদ্ধার হলেও খোঁজ মিলছে না তাঁর স্বামী কাশীনাথের। পুলিশের প্রাথমিক তদন্তে অনুমান, কাশীনাথ তাঁর স্ত্রীকে খুন করে দেহ আলমারির মধ্যে রেখে দিয়ে চম্পট দিয়েছেন। ইতিমধ্যে ঘটনার তদন্ত শুরু করছে পুলিশ। কাশীনাথকে খুঁজে পেতে চলছে তল্লাশি। ইতিমধ্যে দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের (Post Mortem) জন্য পাঠানো হয়েছে।












































































































































