দেশের আইন অনুযায়ী মেয়েদের বিয়ের নুন্যতম বয়স ১৮ বছর। যদিও এক্ষেত্রে ব্যতিক্রম শুধুমাত্র মুসলিমদের ক্ষেত্রে। এবার মুসলিম মহিলাদের বিয়ের বয়স ১৮ করার দাবিতে সুপ্রিমকোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করল জাতীয় মহিলা কমিশন(Womans Commission)। শীর্ষ আদালত(Supreme Court) এই মামলা গ্রহণ করে এ বিষয়ে কেন্দ্রের মতামত চেয়ে কেন্দ্রকে নোটিস পাঠিয়েছে প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় এবং বিচারপতি পিএস নরসিংহের ডিভিশন বেঞ্চ(Divition Bench)।
জাতীয় মহিলা কমিশনের (National Commission for Women) তরফে হলফনামায় জানানো হয়েছে, অপ্রাপ্তবয়স্ক মুসলিম মহিলাদের মৌলিক অধিকার রক্ষার উদ্দেশে এই মামলাটি দায়ের করা হয়েছে। তাঁদের দাবি, অপ্রাপ্তবয়স্ক মেয়েদের বিয়ে করলে অন্যান্য ধর্মে যে শাস্তির বিধান আছে, সেটা ইসলামিক পার্সোনাল ল’র ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য হোক। জাতীয় মহিলা কমিশন বলছে, মুসলিমদের মধ্যে অপ্রাপ্তবয়স্কদের বিয়ে দিয়ে দেওয়ার রীতি বহু নাবালিকার ক্ষতি করছে। মহিলা কমিশনের হলফনামায় বলা হয়েছে, কোনও মেয়ে জৈবিকভাবে প্রজননে সক্ষম হলেই যে মানসিকভাবে পরিপক্ক এবং বিয়ে করার জন্য প্রস্তুত, সেটা নয়।
উল্লেখ্য, মুসলিম পার্সোনাল ল’ অনুযায়ী, মেয়েদের বিয়ের জন্য ১৮ বছর অর্থাৎ প্রাপ্তবয়স্ক হওয়ার প্রয়োজন নেই। ১৫ বছর বয়স হলে বা ঋতুমতী হলেই মুসলিম মেয়েদের বিয়ে দেওয়া যায়। তাতে কোনও শাস্তির বিধান নেই। অন্যদিকে হিন্দু-সহ অন্যান্য ধর্মের মেয়েদের বিয়ের বয়স ১৮ থেকেও বাড়িয়ে ২১ বছর করার প্রস্তুতি নিচ্ছে কেন্দ্র। ইতিমধ্যেই সেটা করার জন্য গঠিত হয়েছে সংসদীয় কমিটি। আপাতত ‘প্রহিবিশন অফ চাইল্ড ম্যারেজ (সংশোধনী) বিল, ২০২১’ সংসদীয় স্থায়ী কমিটির কাছে পাঠানো হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে মুসলিমদের এই নিয়মে বদল আনতে চাইছে মহিলা কমিশন।