প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় চিনের কোনওরকম আগ্রাসন ভারত মেনে নেবে না, কড়া বার্তা জয়শঙ্করের

0
3

ভারত-চিন সীমান্তবর্তী এলাকায় চিনের কোনরকম আগ্রাসন ভারত মেনে নেবে না। প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখায় চিন যদি সেখানকার স্থিতাবস্থা বদলানোর মতো কোনও পদক্ষেপ নেয় সে ক্ষেত্রে দুই দেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে। শীতকালীন অধিবেশনের শুরুতে বুধবার সংসদে দাঁড়িয়ে এমনটাই জানালেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শংকর(S Jaishankar)।

পূর্ব লাদাখে চিনের আগ্রাসনে ক্ষুব্ধ ভারত। বুধবার সংসদে দাঁড়িয়ে সেটাই স্পষ্ট করলেন দেশের বিদেশ মন্ত্রী এস জয় শংকর। সংসদে দাঁড়িয়ে জিনপিং প্রশাসনের বিরুদ্ধে তোপ দেগে তিনি বলেন, “প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় স্থিতাবস্থা বদল মানবে না ভারত। সীমান্তে চিনা ফৌজ নির্মাণ না থামালে তার অত্যন্ত বিরূপ প্রভাব পড়বে।”

২০২০ সালের মে মাস, অর্থাৎ গালওয়ান সংঘর্ষের (Galwan clash) সময় থেকেই হট স্প্রিংয়ের পেট্রোল পয়েন্ট ১৫ থেকে এক কিলোমিটারের মধ্যে দুই দেশের প্রায় শ’খানেক সেনা মোতায়েন রয়েছে। এর আগে একাধিক আলোচনার মাধ্যমে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় একাধিক ফ্ল্যাশপয়েন্টগুলি থেকে সেনা প্রত্যাহার করেছে দুই দেশ। সমঝোতা মোতাবেক অস্থায়ী পরিকাঠামো সরিয়েছে দুই সেনাই। কিন্তু হট স্প্রিং, গোগরা ও দেপসাং সমতলে সমস্যা এখনও মেটেনি। এই পরিস্থিতিতে চিনের সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক যে ক্রমশ তলা নিতে তা স্পষ্ট হয়েছে একাধিক আন্তর্জাতিক মঞ্চে।

উল্লেখ্য, গত সেপ্টেম্বর মাসে এসসিও সামিটে মঞ্চ ভাগ করলেও চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের প্রতি সৌজন্যটুকুও দেখাননি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ওই মাসেই ব্রিকস গোষ্ঠীর (BRICS) বিদেশমন্ত্রীদের বৈঠকে চিনের বিদেশমন্ত্রী ওয়াং ই-র সঙ্গে মঞ্চে ভাগ করতে দেখা যায় ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শংকরকে। ওই বৈঠকের আগে রাষ্ট্রসংঘে সন্ত্রাসবাদীদের আড়াল করার জন্য চিনকে একহাত নেন জয়শংকর। এবার দেশের সংসদে দাঁড়িয়ে দিলেন কড়া বার্তা।