সুসম্পর্কের ইঙ্গিত! সংসদে কংগ্রেসের ডাকা বৈঠকে উপস্থিত তৃণমূল সাংসদ সুদীপ

0
1

সংসদে শীতকালীন অধিবেশনের প্রথম দিনে কংগ্রেসের(Congress) সর্বভারতীয় সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গের(Mallikarjun kharge) ডাকা বৈঠকে উপস্থিত হলেন তৃণমূল সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়(Sudip Banerjee)। রাজ্য রাজনীতিতে প্রবল বিরোধী হওয়া সত্ত্বেও জাতীয় রাজনীতিতে সহযোগিতাপূর্ণ পদক্ষেপের ইঙ্গিত দিল কংগ্রেস ও তৃণমূল(TMC)। পাশাপাশি সংসদ অধিবেশনেও তৃণমূলের হয়ে সাওয়াল করতে দেখা গেল অধীর রঞ্জন চৌধুরীকে(Adhir Chaudhari)।

শীতকালীন অধিবেশনের প্রথম দিনে সব বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলিকে নিয়ে বৈঠক ডেকেছিলেন মল্লিকার্জুন খাড়গে। যেখানে উপস্থিত ছিলেন ডিএমকে (DMK), এনসিপি (NCP), শিব সেনার মতো দলগুলি। পাশাপাশি দুটি দলের উপস্থিতি ছিল বেশ তাৎপর্যপূর্ণ যারা হল তৃণমূল ও আম আদমি পার্টি। তৃণমূলের তরফ থেকে এখানে উপস্থিত ছিলেন সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় এবং আপের সঞ্জয় সিং। এই দুই দলের উপস্থিতি তাৎপর্যপূর্ণ কারণ সংসদের শেষ দুই অধিবেশনে দেখা গিয়েছে কংগ্রেসকে সচেতনভাবে এড়িয়ে গিয়েছে তৃণমূল। একই ইস্যুতে আলাদাভাবে আন্দোলন করেছে তারা। কংগ্রেসের তরফে কোন বৈঠক ডাকা হলে সচেতন ভাবে তা এড়িয়ে যেত ঘাসফুল শিবির। কোন কোন জায়গায় আবার দ্বিতীয় সারির কোনও সাংসদকে পাঠানো হতো প্রতিনিধি হিসেবে। এই পরিস্থিতি পেরিয়ে এবারের অধিবেশনের প্রথম দিনে কংগ্রেসের ডাকা বৈঠকে সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপস্থিতি নিশ্চিত ভাবে তাৎপর্যপূর্ণ।

এর পাশাপাশি এদিন সংসদে তৃণমূল সাংসদের পক্ষে সওয়াল করতে দেখা যায় কংগ্রেস নেতা অধীর রঞ্জন চৌধুরীকে। লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লার কাছে বিভিন্ন সংসদীয় কমিটিতে বিরোধীদের বাদ দেওয়া নিয়ে অভিযোগ করেন। সেই বাদ যাওয়া সাংসদদের তালিকায় ছিলেন তৃণমূলের সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ও (Sudip Bandyopadhyay)। সোনিয়া গান্ধীর উপস্থিতিতে অধীর সুদীপের নাম করে তৃণমূল সাংসদকে ওই পদ ফিরিয়ে দিতে অনুরোধ করেন। অধীর চৌধুরীর মতো প্রবল তৃণমূল বিরোধীর এভাবে সুর নরম করে সংসদে তৃণমূলের হয়ে সওয়াল করাটাও বেশ ইঙ্গিতবাহী। দিল্লিতে যখন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় উপস্থিত রয়েছেন ঠিক সেই সময় কংগ্রেসের এহেন কর্মকাণ্ডে রাজনৈতিক মহলের ধারণা অতীতের ভুল বোঝাবুঝি মিটিয়ে জাতীয় রাজনীতিতে হাতে হাত রাখতে প্রস্তুত হচ্ছে তৃণমূল ও কংগ্রেস।