জিবৌতিতে চিনা নৌঘাঁটি, ভারতকে সতর্ক করল আমেরিকা

0
3

প্রতিবেশী দেশগুলির পাশাপাশি আমেরিকার(America) অন্যতম মাথাব্যাথার কারণ হয়ে উঠেছে চিন(China)। নিজেদের দাদাগিরি বজায় রাখতে একাধিক জায়গায় নিজেদের নৌঘাঁটি তৈরি করতে শুরু করেছে লালফৌজ। আর সেই পথে হেঁটে আফ্রিকার(Africa) জিবৌতিতে(Jibouti) তৈরি নৌঘাঁটিতে দ্রুত যুদ্ধবিমানবাহী রণতরী ও সাবমেরিন মোতায়েন করতে চলেছে চিন। যা উদ্বেগ বাড়াচ্ছে ভারতের। সম্প্রতি এই সংক্রান্ত এক রিপোর্ট প্রকাশ করেছে মার্কিন প্রতিরক্ষা দফতর।

চলতি সপ্তাহে মার্কিন কংগ্রেসে ‘হর্ন অফ আফ্রিকা’য় অবস্থিত চিনের জিবৌতি নৌঘাঁটি নিয়ে উপগ্রহ চিত্র সহ একটি রিপোর্ট প্রকাশ করে মার্কিন প্রতিরক্ষা দফতর। রিপোর্টে বলা হয়, ইতিমধ্যেই সোমালিয়ার পড়শি দেশটিতে কয়েকটি যুদ্ধজাহাজ মোতায়েন করে ফেলেছে লালফৌজ। ওই নৌঘাঁটির পরিকাঠামো বলছে, সেখানে বিমানবাহী যুদ্ধজাহাজ এবং সাবমেরিন মোতায়েনেও সক্ষম তারা। এর ফলে অদূর ভবিষ্যতে ভারত মহাসাগরে ভারতীয় নৌসেনার গতিবিধি বাধাপ্রাপ্ত হতে পারে। মার্কিন রিপোর্টে বলা হয়েছে, ‘গত মার্চ মাসে চিনা নৌসেনার একটি FUCHI II class পণ্য সরবরাহকারী জাহাজ জিবৌতি বন্দরে নোঙর করে। ফলে বন্দরটি যে তৈরি তা স্পষ্ট।’

উল্লেখ্য, পূর্ব আফ্রিকার ছোট্ট দেশ জিবৌতিতে ২০১১ সাল থেকে নৌঘাঁটি তইরির কাজ করছে চিন। বিশেষজ্ঞদের দাবি কৌশলগত দিক থেকে এই বন্দর হতে চলেছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এডেন উপসাগর থেকে লোহিত সাগর হয়ে সুয়েজ খালমুখী জলপথের বাব-এল-মান্দেব প্রণালীতে অবস্থিত এই নৌঘাঁটি থেকে আফ্রিকা এবং এশিয়ার বিস্তীর্ণ অংশে উপস্থিতি জানান দেওয়ার কাজ করতে পারবে চিনা নৌবাহিনী। ভারত মহাসাগরের পাশাপাশি আরব সাগরের জলসীমায় ঢুকে চাপে ফেলতে পারবে নয়াদিল্লিকে। এর পাশাপাশি এই প্রণালী ধরে প্রতিদিন বহু বাণিজ্যিক জাহাজ যাতায়াত করে। জলদস্যুদের হাত থেকে সেগুলিকে সুরক্ষা দিতে এখানে টহলদারি চালায় ভারতের নৌসেনা। এখানে চিনের আধিপত্যে ভারতের গতিবিধি ব্যাহত হতে পারে বলে অনুমান করছে বিশেষজ্ঞ মহল।