শেষ চেষ্টা করার সুযোগ দিল না বরুণদেব। অগত্যা কিউয়িদের কাছে হেরেই ফিরতে হচ্ছে ভারতীয় ক্রিকেট দলকে (Indian Cricket Team)। অকল্যান্ডের ইডেন পার্কে (Auckland’s Eden Park)প্রথম ওয়ান ডে ম্যাচে কার্যত রানের পাহাড় গড়েছিল টিম ইন্ডিয়া (Team India)। কিন্তু সেই ম্যাচে হারতে হয়েছিল বোলিং ব্যর্থতার জন্য। পরে হ্যামিল্টনে (Hamilton)সিরিজ বাঁচানোর লড়াই ছিল শিখর ধাওয়ানদের (Sikhar Dhawan)। কিন্তু সেই ম্যাচ বৃষ্টির জন্য বাতিল (Match Draw) হয়। তাই বুধবারের ম্যাচ মান বাঁচানর লড়াই ছিল ভারতের কাছে। ক্রাইস্টচার্চের (Christchurch)ম্যাচে জিতলে অন্তত ওয়ান ডে সিরিজ (ODI) ড্র করে দেশে ফিরতে পারত ভারত। কিন্তু সেটা আর হল না।
টসে হেরে প্রথমে ব্যাট করতে হয় ভারতীয় ক্রিকেটারদের। কিউয়িদের বোলিং দাপটে শুরুতেই ভেঙে পরে ভারতের ব্যাটিং লাইন আপ। শুভমন গিলকে সঙ্গে নিয়ে ওপেন করতে নামেন শিখর ধাওয়ান। বোলিং শুরু করেন টিম সাউদি। দ্বিতীয় বলে ১ রান নিয়ে খাতা খোলেন ধাওয়ান। প্রথম ওভারে ১ রান ওঠে। ৮.৪ ওভারে মিলিনের বলেই স্যান্টনারের হাতে ধরা পড়ে যান শুভমন। ২টি বাউন্ডারির সাহায্যে ২২ বলে ১৩ রান করেন তিনি। ভারত ৩৯ রানে প্রথম উইকেট হারায়। ইনিংসের ১২তম ওভারে দলগত ৫০ রানের গণ্ডি টপকায় ভারত। ১২.৬ ওভারে মিলিনের বলে বোল্ড হয়ে মাঠ ছাড়েন শিখর ধাওয়ান। ৪৫ বলে ২৮ রান করেন গব্বর। মারেন ৩টি চার ও ১টি ছয়। ৪৭.৩ ওভারে সাউদির বলে শেষ উইকেট পড়তেই ভারত ২১৯ রানে অল-আউট হয়ে যায়। দ্বিতীয়ার্ধে ব্যাট করতে নামে নিউজিল্যান্ড। আকাশের অবস্থা তখন খুব একটা ভাল নয়। প্রথম থেকেই উইকেট না হারানোর টার্গেট নিয়েছিল কিউয়িরা। ৫ ওভার শেষে নিউজিল্য়ান্ড বিনা উইকেটে ১৫ রান করে। ১০ ওভার শেষে নিউজিল্যান্ডের স্কোর দাঁড়ায় বিনা উইকেটে ৫৯। ৭টি চার ও ১টি ছক্কার সাহায্যে ৫০ বলে ব্যক্তিগত হাফ-সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন ফিন অ্যালেন।১৮ ওভারে নিউজিল্যান্ড ১ উইকেটের বিনিময়ে ১০৪ রান করার পরেই নামে বৃষ্টি, থমকে যায় ম্যাচ। ৬টি বাউন্ডারির সাহায্যে ৫১ বলে ৩৮ রান করেন ডেভন কনওয়ে। এরপর বেশ কিছুক্ষন অপেক্ষার পর ম্যাচ পরিত্যক্ত বলে ঘোষণা করা হয়। ফলে টি-২০ সিরিজ জিতলেও ওয়ান ডে সিরিজে মানরক্ষা হল না ইন্ডিয়ার।







































































































































