মিঠুনের মহাজোট বার্তা! একা তৃণমূলকে হারাতে পারবে না বুঝেছে বিজেপি: কুণাল

0
3

ছোট-বড়-মাঝারি-তৎকাল-আদি-পরিযায়ী— বিজেপির (BJP) কোনও নেতৃত্বেরই যে পারস্পরিক বোঝাপড়া বা মতানৈক্য নেই, তা বারবার প্রকাশ্যে আসছে। নির্বাচনে তৃণমূলকে হারাতে বামেদের সঙ্গে হাত মিলিয়ে ছিল রামেরা। তবে, সেই বিষয়ে জোটের কথা অস্বীকার করে বিজেপি নেতৃত্ব। অথচ শনিবার আসানসোলে দলের বৈঠকে যোগ দিতে গিয়ে তৃণমূলের মতো শক্তিকে হারাতে বিরোধী দলগুলিকে এক জায়গায় আসার পক্ষে সওয়াল করলেন বিজেপি নেতা মিঠুন চক্রবর্তী (Mithun Chakraborty)। এই প্রস্তাবকে তীব্র আক্রমণ করেন তৃণমূল (TMC) মুখপাত্র।

একক শক্তিতে যে রাজ্যের শাসকদলকে হারানো যাবে না- সেটা বিজেপি নেতৃত্বের কাছে স্পষ্ট। সেই কারণে, তৃণমূলকে হারাতে সব দলকে জোট বাঁধার বার্তা দিলেন মিঠুন। বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের (Sukanta Majumder) পাশে নিয়েই এদিন এই মন্তব্য করেন তিনি। তবে, এক্ষেত্রেও মিঠুন চক্রবর্তীর সামনে উদাহরণ তৃণমূল। তাঁর মতে, বামেদের হঠাতে সবাই একজোট হয়েছিল। এবার তৃণমূলের মতো শক্তিকে হারাতে সবাইকে একজোট হতেই হবে৷

বামের ভোট রামে যাওয়ার অভিযোগ অনেকবার করেছে তৃণমূল। এবার প্রকাশ্য মিঠুনের প্রস্তাবে অস্বস্তিতে বাম নেতৃত্ব। CPIM নেতা শমীক লাহিড়ী (Shamik Lahiri) বলেন, “উনি অত্যন্ত ভাল অভিনেতা৷ ওটাই করুন৷ রাজনীতিতে মতাদর্শগত লড়াই এত সহজ নয়৷”

আর মিঠুনের মহাজোটের প্রস্তাবকে তীব্র আক্রমণ করেন তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh)৷ বলেন, ”এটা বলে তিনি স্বীকার করে নিচ্ছেন কোনও একক দলের পক্ষে তৃণমূলকে হারানো সম্ভব নয়৷ উনি যে দলের বায়না নিয়ে শীতকালের বাজারে মঞ্চে মঞ্চে অভিনয় করে বেড়াচ্ছেন, সেই দলের একার পক্ষে তৃণমূলকে হারানো সম্ভব নয়, সেটাও উনি স্বীকার করে নিলেন৷ তাছাড়া ২০১৪ সালে সাংসদ হয়ে বলেছিলেন কোনও দল তাঁকে সম্মান নেয়নি৷ মমতা যে সম্মান দিয়েছেন, তার জন্য ভাই হিসেবে তিনি সারাজীবন কৃতজ্ঞ থাকবেন৷ তাহলে কী এমন হল যে এখন সেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Mamata Banerjee) পিছন থেকে ছুরি মারার জন্য নামতে হল৷ কোন কেলেঙ্কারি থেকে বাঁচার জন্য এখন বিজেপি-র হয়ে গান গাইতে হচ্ছে? সেটা সবার সামনে বলুন মিঠুন চক্রবর্তী৷”

তবে, মিঠুনের মন্তব্য থেকে দুটো জিনিস স্পষ্ট- এক, বাংলায় তৃণমূলকে হারানোর ক্ষমতা যে তাদের নেই সেটা বুঝেছে বিজেপি। আর দুই, গেরুয়া শিবিরে মত পার্থক্য কোনও মতেই চাপা যাচ্ছে না।