সর্পাঘাতে ছেলের মৃ*ত্যু, বৌমার বিয়ে দিয়ে নজির শ্বশুরের

0
6

আসানসোলের বিখ্যাত ঘাগরবুড়ি মন্দির দেখল অন্যরকম নজরকাড়া এক বিয়ের আসর। যে বিয়ে মনে করিয়ে দিল উনিশ শতকের বাংলার নবজাগরণের কথা। ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের বিধবা বিবাহের কথা। প্রয়াত স্বামীর বন্ধুর সঙ্গে বিয়ে হল এক গৃহবধূর। এই বিয়ের সব ধরনের ব্যবস্থা করলেন তাঁরই শ্বশুরমশাই।

 

সর্পাঘাতে মৃ*ত নিজের একমাত্র ছেলের বন্ধুর হাতে পুত্রবধূর কন্যাদান করেন তিনি। বিয়ের পিছনের ইতিহাস জেনে তাঁকে বাহবা দেন সকলে। বাহবা দেন পাত্র-সহ পাত্রের পরিবারকেও। এই ব্যতিক্রমী বিয়ের আয়োজক শ্বশুরের নাম কিশোর চট্টোপাধ্যায়। তিনি জামুড়িয়ার চিচুড়িয়া এলাকার বাসিন্দা। কিশোরবাবুর একমাত্র ছেলে অনিমেষ চট্টোপাধ্যায় বিয়ের বছরখানেকের মধ্যেই সাপের কামড়ে মারা যান। তারপর থেকেই তাঁর বৌমা পূজা চট্টোপাধ্যায় এক কন্যাসন্তানকে নিয়ে শ্বশুর কিশোরবাবুর কাছে। দুজনের কথা ভেবে নিজের পুত্রবধূর আবার বিয়ে দেওয়ার মনস্থির করেন কিশোরবাবু। সেইমতো শুরু হয় আয়োজন। অনিমেষের দীর্ঘদিনের বন্ধু প্রভাত ফৌজদারের সঙ্গে পূজার বিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় দুটি পরিবার। তারপরে আসানসোলের ঘাগরবুড়ি মন্দিরে জাঁকজমকহীন বিয়ের আসরটি বসে। স্বামীহারা স্ত্রী পূজা ও তাঁর পিতৃহারা কন্যার স্থায়ী অভিভাবকের ব্যবস্থা করতেই এই উদ্যোগ কিশোরবাবুর। তাঁর প্রস্তাবে সায় দিয়ে এগিয়ে আসেন অনিমেষের দীর্ঘদিনের বন্ধু প্রভাত ফৌজদারও। দুই পরিবারের মহৎ উদ্যোগকে সাধুবাদ জানান উপস্থিত সকলেই।

আরও পড়ুন- ফ্লপ সিনেমা! মিঠুনের সভাকে তীব্র কটাক্ষ ব্রাত্যর