অতিরিক্ত শূন্যপদে নিয়োগ মামলায় এবার আলোচনায় বর্তমান শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর। বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের প্রশ্নের উত্তরে শিক্ষাসচিব মণীশ জৈন জানান,উপর মহল থেকেই তাঁর কাছে অতিরিক্ত শূন্যপদে নিয়োগের নির্দেশ এসেছিল। ব্রাত্য বসু অবশ্য জানালেন, মন্ত্রিসভায় সিদ্ধান্ত গৃহীত হওয়ার পরেই তিনি সচিবকে আইনি পরামর্শ নিতে বলেছিলেন।তবে মাননীয় বিচারপতি আজ কী জানতে চেয়েছেন বা তাঁর কাছে শিক্ষাসচিব কী জানিয়েছেন, সব আদালতে হয়েছে। আইনি বিষয় । আইনি ব্যাখ্যা থাকে। আমার এ নিয়ে এখন কিছু বলার নেই। কিছু বলার হলে নিশ্চয় উপযুক্ত জায়গা থেকে বলা হবে।
আদালতে এদিন শিক্ষাসচিবকে বিচারপতি প্রশ্ন করেন, “আপনি কি জানেন, কমিশনের আইন অনুযায়ী কোনও বেআইনি নিয়োগ করা যায় না? তা হলে অতিরিক্ত শূন্যপদ কেন তৈরি করা হল?” বিচারপতির এই প্রশ্নের উত্তরে মণীশ জৈন জানান, উপযুক্ত স্তর থেকেই তাঁর কাছে নিয়োগ সংক্রান্ত নির্দেশ এসেছিল। বর্তমান শিক্ষামন্ত্রী তাঁকে আইনি পরামর্শ নেওয়ার কথাও বলেছিলেন বলে আদালতকে জানিয়েছেন শিক্ষাসচিব। মণীশ বলেন, “আমরা আইনজীবী এবং অ্যাডভোকেট জেনারেলের সঙ্গে কথা বলি। আইন দফতরের সঙ্গেও কথা হয়। স্কুল সার্ভিস কমিশনের চেয়ারম্যানের সঙ্গেও আলোচনা করা হয়। সবশেষে জানানো হয় মুখ্যসচিবকে। তারপরে নিয়োগের প্রস্তাব মন্ত্রিসভায় পাঠানো হয়।”
বিচারপতি বলেন, “হয় ক্যাবিনেটকে বলতে হবে যে, আমরা অযোগ্যদের পাশে নেই এবং ১৯ মের বিজ্ঞপ্তি প্রত্যাহার করতে হবে। না হলে এমন পদক্ষেপ করব যেটা গোটা দেশে কখনও হয়নি।” শুক্রবার অতিরিক্ত শূন্যপদে নিয়োগ সংক্রান্ত মামলায় আদালতে ডেকে পাঠানো হয় মণীশ জৈনকে। এদিন বিকেলে আবার নিজাম প্যালেসের সিবিআই দফতরেও ডাকা হয়েছিল তাঁকে। সেখানে তিনি হাজিরাও দেন। বেশ কিছুক্ষণ তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন সিবিআই-এর তদন্তকারীরা।




 
 
 
 
 

































































































































