কীভাবে অতিরিক্ত শূন্যপদ তৈরির সিদ্ধান্ত, শিক্ষাসচিবের কাছে জানতে চাইলেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়

0
1

‘আইনে সংস্থান নেই, তবু কীভাবে অতিরিক্ত শূন্যপদ তৈরির সিদ্ধান্ত? রাজ্য মন্ত্রিসভার অতিরিক্ত শূন্যপদ তৈরির সিদ্ধান্ত সম্পর্কেও শিক্ষাসচিব মণীশ জৈনকে প্রশ্ন করেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। বিচারপতি বলেন, কমিশনের আইন অনুযায়ী বেআইনি নিয়োগ করা যায় না। তার পরেও কেন তৈরি করা হল বেআইনি শূন্যপদ?’ বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় জানতে চান,অবৈধ উপায়ে চাকরিপ্রাপকদের চাকরি যাবে না এবং নতুন করে শূন্যপদ পূরণ করা হবে, এ কথা কে বলেছিলেন? এই কাজ করার আগে কোনও আইনি পরামর্শ নেওয়া হয়েছিল?
শিক্ষাসচিব বলেন, ‘বিষয়টি নিয়ে উপযুক্ত স্তর থেকে নির্দেশ এসেছিল।দফতরের সর্বোচ্চ কর্তার নির্দেশ এসেছিল।’ তাঁর দাবি, দফতরের সর্বোচ্চ কর্তা আইনি পরামর্শ নেওয়ার কথা বলেছিলেন। এর পরে আইন দফতরের সঙ্গে কথা হয়। এজি-র সঙ্গেও কথা বলা হয় বলে জানান মণীশ জৈন। সঙ্গে সংযোজন, এসএসসি চেয়ারম্যানের সঙ্গে আলোচনা হয়েছিল বিষয়টি নিয়ে।

শিক্ষাসচিব আরও জানান যে মন্ত্রিসভার বৈঠকের পর এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।বিচারপতি বলেন, আমি এটাই বোঝার চেষ্টা করছি, রাজ্যের মন্ত্রিসভা কী ভাবে অবৈধ চাকরি প্রাপ্যদের চাকরি রক্ষা করতে পারে। এমনকি এ নিয়ে সিদ্ধান্তও নেওয়া হয়েছে! মন্ত্রিসভার এই সিদ্ধান্ত কি ভারতীয় সংবিধানের পরিপন্থী নয়? বিষয়টি খুবই গুরুত্বপূর্ণ।এমনকী বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় রাজ্যের মন্ত্রিসভার সিদ্ধান্তের নোট হাই কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেলের কাছে সুরক্ষিত ভাবে গচ্ছিত থাকবে বলে জানিয়ে দেন।

বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় যখন বিষয়টি নিয়ে শিক্ষাসচিবকে নানান প্রশ্ন করছেন , সেইসময় শূন্যপদে অযোগ্যদের নিয়োগে ‘বেনামি আবেদন’ মামলায় ডিভিশন বেঞ্চের নির্দেশের উপর অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। তিন সপ্তাহের জন্য স্থগিতাদেশ দিয়েছেন প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ।