সরকারি খাতায় তিনি মৃ*ত। কিন্তু বহাল তবিয়তেই ঘুরে বেড়াচ্ছেন তিনি। সবথেকে বড় আশ্চর্যের বিষয় হল তিনি যে সরকারের কাছে মৃত তা ঘুণাক্ষরেও টের পাননি বছর ৭০-এর এক বৃদ্ধ। ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের (Uttar Pradesh) সন্ত কবীরনগরে। আর বিষয়টি কানে উঠতেই নিজেকে জীবিত (Alive) প্রমাণ করার মরিয়া চেষ্টা করেন। টানা ৬ বছর এদিক ওদিক প্রশাসনের একাধিক দফতরে ঘুরে বেড়িয়েছেন। কিন্তু এত বছরের লড়াই শেষে ফাইনাল ল্যাপে এসেই হার মানলেন তিনি। আদালতেই মৃ*ত্যু হয় তাঁর।

২০১৬ সালে দাদা ফেরইয়ের মৃ*ত্যু হয়েছিল। কিন্তু সরকারি খাতায় ফেরইয়ের জায়গায় নাম বদলে খেলোইকেই মৃ*ত বলে ঘোষণা করা হয়। শুধু তাই নয়, যোগী রাজ্যে সরকারি আধিকারিকদের বিরুদ্ধে ঘুষ নিয়ে খেলোইয়ের সমস্ত স্থাবর অস্থাবর সম্পত্তি ফেরইয়ের স্ত্রী এবং ছেলের নামে নথিভুক্ত করে দেওয়ার গুরুতর অভিযোগ ওঠে। তবে বিষয়টি যখন খেলোইয়ের কানে পৌঁছয় ততদিনে অনেকটা দেরি হয়ে যায়। এরপরই শুরু হয় নিজেকে জীবিত প্রমাণ করার লড়াই। একাধিক সরকারি দফতরে ঘুরে চলে নিজেকে জীবিত প্রমাণের মরিয়া চেষ্টা। টানা ছ’বছর সেই লড়াই জারি রাখেন বছর সত্তরের বৃদ্ধ। কিন্তু লাভের লাভ কিছুই হয়নি।
তবে দিনের পর দিন কোনও আশার আলো দেখতে না পেয়ে আদালতের (Court) দ্বারস্থ হন খেলোই। এরপর তাঁর আবেদন মেনে মামলার শুনানির জন্য তাঁকে ডেকে পাঠায় আদালত। বার্ধক্যজনিত শত কষ্টকে উপেক্ষা করেও সুবিচারের আশায় আদালতের দ্বারস্থ হন খেলোই। তবে নিজে আদালতে হাজির থেকে বিচারকের সামনে যখন নিজেকে জীবিত প্রমাণ করার সুবর্ণ সুযোগ সামনে এল। তখনই ঘটল বিপত্তি। আদালত কক্ষে দাঁড়িয়ে বিচারকের সামনে একটি কথাও বলতে পারলেন না তিনি। কাঠগড়ায় দাঁড়িয়েই মৃ*ত্যু হয় খেলোইয়ের।











































































































































