তিন বছর আগে তামিলনাড়ুর মমল্লপুরমে শেষ বার পাশাপাশি দেখা গিয়েছিল তাঁদের দু’জনকে। সে সময় দ্বিপাক্ষিক কূটনীতিতে ছিল বন্ধুত্বের বার্তা। কিন্তু লাদাখের গালওয়ান উপত্যকার সেই রক্তাক্ত সংঘর্ষের ঘটনার পর দুজনকে একসঙ্গে আর বহুদিন দেখা যায়নি।অবশেষে মঙ্গলবার ইন্দোনেশিয়ার বালিতে জি-২০ শীর্ষবৈঠকের নৈশভোজে ফের দেখা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের।

আরও পড়ুন:SCO সম্মেলনে কাছাকাছি মোদি-জিনপিং, খাদ্য সমস্যা সমাধানের উপায় বাতলালেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী
জি-২০ শীর্ষ বৈঠকের নৈশভোজে মঙ্গলবার রাতে মুখোমুখি হওয়ার পরে করমর্দন করেন মোদি এবং জিনপিং। কথাও হয় তাঁদের মধ্যে । তবে বিদেশ মন্ত্রকের একটি সূত্রের খবর, লাদাখ-কাণ্ডের পর এই প্রথম জনসমক্ষে তাঁদের দেখা গেলেও দুই রাষ্ট্রনেতার পার্শ্ববৈঠকের সম্ভবনা নেই ।

উল্লেখ্য, এদিন নৈশভোজের সময় জিনপিং ছাড়াও মার্কিন বিদেশ সচিব অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেনের সঙ্গেও সাক্ষাৎ হয় মোদির। এদিকে জি-২০ সম্মেলনের ফাঁকেই দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে বসতে পারেন মোদি ও বাইডেন। প্রসঙ্গত, সোমবারেই চিনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে বৈঠকে বসেছিলেন বাইডেন। বৈঠকের শুরুতে হাতে হাত রেখে হাসিমুখে ছবি তোলেন দুই রাষ্ট্রপ্রধান।
প্রসঙ্গত, ২০১৪ সালে প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পরেই চিনের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে সুসম্পর্ক গড়ে তুলতে সক্রিয় হয়েছিলেন মোদি। নিজের রাজ্য গুজরাটেও নিয়ে গিয়েছিলেন জিনপিংকে। ২০২০ সালের গালওয়ান-কাণ্ডের পর সেই প্রচেষ্টায় ছেদ পড়ে গিয়েছিল। গত সেপ্টেম্বরে উজবেকিস্তানের সমরকন্দে সাংহাই কোঅপারেশনের শীর্ষ বৈঠকে মোদি এবং জিনপিংয়ের মুখোমুখি হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত দুই রাষ্ট্রনেতার দেখা হয়নি।





 
 
 
 
 































































































































